নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নয়া মোড়! মানিক, রত্নার বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়ায় অনুমোদন রাজ্যপালের

Manik Bhattacharya

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নয়া মোড়! অবশেষে দীর্ঘ অপেক্ষার পর মিলল অনুমতি। জানা গিয়েছে, শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya) বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া শুরুর অনুমোদন দিলেন রাজ্যপাল। এছাড়াও, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচীর বিরুদ্ধেও বিচার প্রক্রিয়া শুরুর অনুমোদন দিয়েছে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তবে কি বিধানসভা নির্বাচনের আগেই আরও কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে আসতে চলেছে শিরোনামে!

চার্জশিট অনুমোদন নিতে দীর্ঘ অপেক্ষা CBI-এর

গত অক্টোবর মাসে প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য এবং প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচীর বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। কিন্তু সেই চার্জশিটে তখনও রাজভবনের অনুমোদন মেলেনি। এদিকে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন অনুযায়ী, চার্জশিট জমা দেওয়ার পর সেই সংক্রান্ত অনুমোদনের জন্য তিন মাস সময় দেওয়া হয়ে থাকে। যেহেতু মানিক বা রত্নার ক্ষেত্রে সেই সময়সীমা এখনও অতিক্রান্ত হয়নি তাই সিবিআই-এর অপেক্ষা করা ছাড়া আর উপায় ছিল না। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তৃণমূলের বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়ায় অনুমোদন দিলেন রাজ্যপাল। ইতিমধ্যেই রাজভবনের তরফে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

কেন দরকার এই অনুমোদন?

সাধারণত, কোনও সরকারি পদাধিকারীর বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়ার আগে রাজভবনের অনুমোদন নেওয়া বাধ্যতামূলক। কারণ, সরকারি পদে থাকাকালীন কেউ যদি কোনও অপরাধের অভিযোগের ক্ষেত্রে জড়িত থাকে তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করতে সাংবিধানিক অনুমোদন লাগে। সেক্ষেত্রে মানিক ভট্টাচার্য তখন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি ছিলেন এবং রত্না চক্রবর্তী বাগচী ছিলেন পর্ষদের সচিব তাই রাজভবনের অনুমোদন খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এদিকে সিবিআই-এর চার্জশিটে এই দুই জনের পাশাপাশি তৃণমূলের বীরভূমের নলহাটির ২ নম্বর ব্লকের প্রাক্তন সভাপতি বিভাস অধিকারীর নামও রয়েছে। কিন্তু তিনি কোনও সরকারি পদে ছিলেন না। ফলে তাঁর জন্য আলাদা করে অনুমতির কোনও প্রয়োজন ছিল না।

আরও পড়ুন: ৮ বছর পর প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের আবেদন! আজ থেকেই শুরু প্রক্রিয়া, কত শূন্যপদ?

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ওএমআর শিট নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। প্রায় ১০ বছর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি পদে ছিলেন মানিক। এরপর কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে পর্ষদের সভাপতির পদ হারিয়েছিলেন মানিক। তার পর সিবিআই তাঁকে গ্রেফতার করে। যদিও এইমুহুর্তে তিনি জামিনে রয়েছেন। এমনকি এই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রত্না বাগচীকেও একাধিক বার তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই। তাই তাঁর বিরুদ্ধে চার্জশিট তৈরি করা হয়েছিল।

Leave a Comment