ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: সবটা জেনেও নীরব প্রতিক্রিয়া পুলিশের! রেশন দুর্নীতি প্রসঙ্গে পুলিশের এ হেন কার্যকলাপ মানতে বাধ্য হল রাজ্য সরকার! কিছুদিন আগেই বাংলার রেশন মামলার তদন্তের সূত্রে রেশন কার্ড সংক্রান্ত কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর জানতে আরও একবার চিঠি পাঠিয়েছে ED। জানতে চাওয়া হয়েছে রাজ্যে কতগুলো অ্যাক্টিভ রেশন কার্ড রয়েছে। কিন্তু সেই বিষয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করেনি খাদ্য দফতর। তবে এসবের মাঝেই রেশন দুর্নীতি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা দিল রাজ্য পুলিশ।
খাদ্য দফতরকে চিঠি ED র!
মূলত রেশন কার্ডের মাধ্যমেও রেশনে দুর্নীতি হয়েছে কী না সেই উত্তর খুঁজতে আসরে নেমেছে ED। বিগত কয়েক মাস ধরেই এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার অবধি করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এর আগে বেশ কয়েকবার খাদ্য দফতরকে চিঠি পাঠিয়েছে ED। কিন্তু কোনও বারই উত্তর মেলেনি। এদিকে হাল ছাড়তে নারাজ ED। তাই আরও একবার চিঠির নোটিশ ধরিয়ে দিল খাদ্য দফতরকে। কিন্তু এর মাঝেই রাজ্যে রেশন দুর্নীতির ৮৭টি অভিযোগের রিপোর্ট হাইকোর্টে জমা দিল রাজ্য পুলিশ। যা নিয়ে তোলপাড় গোটা রাজনৈতিক মহল।
অভিযোগের রিপোর্ট জমা রাজ্য পুলিশের
সূত্রের খবর, রেশন দুর্নীতির সমস্ত মামলার তদন্তভার নিজেদের হাতে নেওয়ার জন্য আদালতের কাছে আবেদন জানিয়েছিল ED। সেই প্রেক্ষিতে রাজ্য পুলিশের কাছে রেশন দুর্নীতির কতগুলি মামলা দায়ের হয়েছিল তা জানতে চায় হাইকোর্ট। তাই গতকাল অর্থাৎ সোমবার রিপোর্ট পেশ করে রাজ্য পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্যের বিভিন্ন থানায় রেশন দুর্নীতির মোট ৮৭টি FIR দায়ের হয়েছিল। তার মধ্যে ৬৫ টিতে ইতিমধ্যে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। বাকি ২০টি মামলার তদন্ত চলছে এবং ২টি মামলা ত্রুটিপূর্ণ।
জানা যায় এই রিপোর্টের ভিত্তিতে আগামী ১৭ জুন ED কে তাঁদের বক্তব্য জানাতে বলেছে আদালত। পাশাপাশি রেশন দুর্নীতির যে ৬টি মামলায় রাজ্য পুলিশের তদন্তে আদালত স্থগিতাদেশ জারি করেছিল তা বহাল থাকবে যতদিন না আদালত স্থগিতাদেশ তুলে নিচ্ছে। এবং এই মামলার পরবর্তী শুনানি হিসেবে দিন ঠিক করা হয়েছে ২৪ জুন। গত বছর অক্টোবর মাসে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের আটক করার সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী তথা চাল-গমের মিল মালিক বাকিবুর রহমান এবং বনগাঁর প্রাক্তন পুরপ্রধান শঙ্কর আঢ্যকেও।