ইন্ডিয়া হুড ডেস্কঃ ভারত এবং চিনের মধ্যেকার প্রতিদ্বন্দ্বীতা দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। ভারতকে ঘিরে ধরতে ভারত মহাসাগরে চিন বিছিয়ে দেয় তাদের স্ট্রিং অফ পার্লস। আর সেই মতো মোজাম্বিক থেকে শুরু করে শ্রীলঙ্কা সহ বিভিন্ন দেশে ঘাঁটি গেড়ে বসেছে তারা। এরই সাথে শুরু হয়েছে শি জিনপিংয়ের স্বপ্নের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’। আর তারই অংশ হিসেবে গড়ে উঠছে পাকিস্তানের গদর বন্দর।
ভারতকে চ্যালেঞ্জ করে চিন এবং পাকিস্তান মিলে তৈরী করে চিন পাকিস্তান ইকনমিক করিডোর বা CPEC। আর এই করিডোরের অংশ পাকিস্তানের বালুচিস্তানের গদর বন্দর। কিন্তু ভারতও পিছিয়ে থাকতে চায়না। গদর থেকে কিছুদূর দূরেই তৈরি হয় ভারত এবং ইরানের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় তৈরি চাবাহার বন্দর। এই বন্দরের মাধ্যমে চিনকে টক্কর দেওয়াই লক্ষ্য ভারতের।
ভারত এবং ইরানের মধ্যে চাবাহার নিয়ে ১০ বছরের একটি চুক্তি হতে চলেছে। এই চুক্তি স্বাক্ষর করার জন্য সেদেশে পৌঁছেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল। চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পর ভারতের হাতে থাকবে চাবাহার বন্দরের পরিচালনার দায়িত্ব। আর এই চাবাহার ভারতের হাতে এক সেখান থেকে ভারত সংযোগ স্থাপন করতে পারবে আফগানিস্তান, মধ্য এশিয়া এমনকি ইউরোপের সাথেও।
চাবাহার চুক্তির অসীম গুরুত্ব ভারতের কাছে
বর্তমানে তাই চাবাহার নিয়ে চুক্তির অসীম গুরুত্ব রয়েছে ভারতের কাছে। এছাড়া চাবাহার ভারতের হাতে আসার পর ভারতের পরিকল্পনা রয়েছে চাবাহারের সাথে ইন্টারন্যাশনাল নর্থ-সাউথ ট্রান্সপোর্ট করিডোরকে যুক্ত করা। যার ফলে সোজা রাশিয়ার সাথে যুক্ত হবে ভারত। এছাড়া আফগানিস্তানেও পৌঁছানোর সময় পাকিস্তানের আর প্রয়োজন হবেনা। উল্লেখ্য যে, ইরানের চাবাহার বন্দর উন্নয়নের জন্য ৮৫ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে ভারত।
আরও পড়ুনঃ চিন নয়, এবার তুর্কির সঙ্গে মিলে ভয়ঙ্কর প্ল্যান ভারত বিরোধী মউজ্জুর! উথাল পাথাল মলদ্বীপ
বন্দরের উন্নয়নের জন্য ইতিমধ্যেই চাবাহারে ছ’টি ভ্রাম্যমাণ হারবার ক্রেন ইরানকে দিয়েছে ভারত। আর ভারত এবং ইরানের চুক্তির পর এই বন্দরের দেখভালের সমস্ত দায়িত্ব থাকবে ভারতের কাছেই। চাবাহারকে আবার যোগ করা হবে জাহেদান রেলপথের সাথে। সেক্ষেত্রে পরিষেবা আরো অনেকটাই উন্নত হবে। জানিয়ে রাখি যে, গত বছর ব্রিকস সামিটের সময় খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই নিয়ে আলোচনা করেন। এবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল গিয়ে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করে আসছেন।