ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: মহিলাদের বড় আশ্বাস দিলেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ! নির্বাচনের লড়াইয়ে জিতলে বিপুল অর্থ সাহায্য করবে কেন্দ্র বলে জানান তিনি! ভোটের দিন যতই এগিয়ে আসছে ততই এলাকার ভোটপ্রার্থীদের প্রচারের পন্থা আরও তীব্র হচ্ছে। ভোট আদায়ের তাগিদে নিশানা করছে একে অপরকে। এমনকি রাজ্য সরকারি প্রকল্প নিয়েও তুলোধনা করে চলেছে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। যা নিয়ে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব তুঙ্গে উঠেছে।
শ্রীরামপুরের জনসভায় অমিত শাহ
গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার শ্রীরামপুর লোকসভার জন্য প্রচারে এসেছিলেন অমিত শাহ। আর সেই সভাতেই এবার বিস্ফোরক প্রতিশ্রুতি দিলেন বাংলাকে। এর আগে বেশ কয়েকবার বঙ্গে এসেছিলেন দলের ভোট প্রচারে। এবং যতবারই তিনি এসেছিলেন ততবারই তৃণমূলের সামাজিক কল্যাণ প্রকল্পকে নিশানা করে নিন্দা করেছেন। তবে এবার খানিক সুরের ছন্দে পরিবর্তন দেখা দিল। কারণ প্রচারের হাতিয়ার হিসেবে অমিত শাহ শেষমেশ বেছে নিলেন মমতা সরকারের এক অন্যতম প্রকল্পকে। যার নাম ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে টার্গেট বিজেপির!
এদিন উলুবেড়িয়ার বিজেপি প্রার্থী অরুণোদয় পালের সমর্থনে সভা করেছিলেন অমিত শাহ। সেখান থেকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে বরাদ্দ বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি। শাহের কথায়, ‘দিদি বলছে, বিজেপি ক্ষমতায় এলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করে দেবে। আমি বলছি, আমরা ক্ষমতায় এলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে ১০০ টাকা করে বাড়িয়ে দেব।’ শুধু তাই নয় এদিন তাঁর মন্তব্যে উঠে আসে উলুবেড়িয়ার ঐতিহ্য জড়ি শিল্পের কথাও। তিনি বলেন, ‘উলুবেড়িয়ার ঐতিহ্যপূর্ণ পণ্য শিল্প হল জড়ি। এই শিল্পে প্রায় ২০ লক্ষ লোক কাজ করতেন। কিন্তু তৃণমূলের কাটমানি গুন্ডারা কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। বিজেপি ক্ষমতায় এলে ‘ওয়ান ডিস্ট্রিক্ট, ওয়ান প্রোডাক্টে’ প্রকল্পের মাধ্যমে জড়িগ্রাম পুনর্জ্জীবিত করব।’
আরও পড়ুনঃ হাইকোর্টে মুখ পুড়ল রাজ্যের, সরকারি কর্মীদের স্বস্তি দিয়ে যুগান্তকারী রায় আদালতের
একুশের নির্বাচনের পর নতুন করে ক্ষমতায় এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চালু করেছিলেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প। আর এই প্রকল্পকে ঘিরেই নানা মন্তব্য করেছিল বিজেপি। আর আজকের দিনে দাঁড়িয়ে সেই বিজেপি যখন তাদেরই চালু করা প্রকল্প নিয়ে ভোট প্রচারের ময়দানে নেমেছে তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার এর মুখে খানিক বিদ্রুপের হাসি ফুটে উঠেছে। এদিকে কোচবিহারের একটি জনসভা থেকে বিজেপি মোর্চা নেত্রীর মুখ থেকে শোনা গিয়েছিল যে তিন মাসের মধ্যে এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু তার কয়েকদিন পরেই অমিত শাহের বক্তৃতায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের নাম শুনতে পাওয়া নিয়ে রীতিমতো রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।