ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: গত ১৪ মে সূর্যে তৃতীয়বার ভয়ংকর সৌরঝড় হয়েছে। যা গত ৫০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। বিস্ফোরণের ঘনত্ব ছিল X 8.7। এর আগে ১১ মে এবং ১৩ মে সূর্যের ওই একই জায়গায় দু’টি বিস্ফোরণ হয়েছিল। প্রবল ঝড়ের দাপট এতটাই ছিল আগুনের ঝাপটা সূর্যের বাইরে মহাকাশেও ছড়িয়ে পড়েছিল। এমনকি পৃথিবীর দিকেও ছিটকে এসেছে সেই ঝাপটা। সূর্যের মধ্যেকার সেই তীব্র ঝড়ের ছবি তুলেছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর সৌরযান Aditya L1।
সৌর ঝড়ের ছবি ক্যামেরাবন্দি করেছে Aditya L1
কয়েক মাস আগেই সূর্য সম্পর্কিত নানা পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য ISRO র তরফ থেকে পাঠানো হয়েছিল Aditya L1। যেটি এইমুহুর্তে সূর্য এবং পৃথিবীর মাঝের ল্যাগরেঞ্জ পয়েন্টে রয়েছে। সেখান থেকে প্রতি মুহূর্তে সূর্যকে পর্যবেক্ষণ করায় তার ক্যামেরায় সৌরঝড়ের চিত্র ধরা পড়েছে। তবে শুধু আদিত্য নয় ছবি তুলে ধরেছে চন্দ্রযান-২-এর অরবিটার। চাঁদ থেকেও ওই ঝড়ের ছবি তোলা হয়েছে।
সৌরঝড়ের তাণ্ডবে ইন্টারনেটে ব্যাঘাত
সেই সৌরঝড়ের তাণ্ডব এতটাই ছিল যে তার প্রভাব পড়েছে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে। যার দরুন পৃথিবীর নানা প্রান্তে ইন্টারনেট ব্যবস্থায় ব্যাঘাত ঘটেছে। শুধু ইন্টারনেট নয় সৌরঝড়ের প্রভাবে ইউরোপ, অস্ট্রেলেশিয়া অঞ্চলের বহু দেশে রাতের আকাশে দেখা গিয়েছে অরোরা। এমনকি, লাদাখের রাতের আকাশও রঙিন হয়ে উঠেছিল বলে জানা যায়। তবে কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট প্রসঙ্গে সবাইকে স্বস্তির খবর দিয়ে ISRO-র আশ্বাস, সৌরঝড় প্রবল হলেও কমিউনিকেশন স্যাটেলাইটের কোনও ক্ষতিই হয়নি।
আরও পড়ুনঃ ৪০ কিমিতে ঝড়, বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি! তাপপ্রবাহের সতর্কতার মধ্যেও দক্ষিণবঙ্গে বর্ষণ, আজকের আবহাওয়া
তবে এই স্বস্তির খবর দেওয়ার পাশাপাশি আরও এক সুসংবাদ দিল ISRO। আর সেটি হল এবার দ্বিতীয়বার মঙ্গলগ্রহে অভিযান করতে চলেছে ভারতীয় মহাকাশ সংস্থা। প্রথম মিশনটির নাম ছিল মঙ্গলযান তাই দ্বিতীয় মিশনটিকে আগের মিশনের সঙ্গে নাম মিলিয়ে রাখা হয়েছে মঙ্গলযান-২। এটি টেলিফোন এক্সচেঞ্জের মতো কাজ করবে। এতে VNIR এবং IR ক্যামেরা থাকবে যা মঙ্গলের বায়ুমণ্ডলীয় গতিশীলতা বোঝার চেষ্টা করবে। আশা করা হচ্ছে, ২০৩১ সালে ISRO-এর এই স্বপ্নের প্রকল্প চালু করতে পারে। এবার লালগ্রহের অবতরণ করে নতুন ইতিহাস তৈরির অপেক্ষা।