ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: গত কয়েক মাসে লোকসভা নির্বাচনের আগে দফায় দফায় কেন্দ্রীয় সরকার তাঁদের কর্মীদের DA বা মহার্ঘ ভাতা বাড়িয়েই চলেছে। যেখানে আগে DA ৪৬ শতাংশ দেওয়া হত, সেখানে এখন ৫০ শতাংশ দেওয়া হয়। অন্যদিকে লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ এর দিন ঘোষণার পরেই ৪ শতাংশ DA বৃদ্ধি করেছে রাজ্য সরকার। অর্থাৎ আগে সরকারি কর্মীদের যেখানে ১০ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হত, এখন তাঁদের ১৪ শতাংশ করে DA দেওয়া হয়। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে কবে থেকে সরকারি কর্মীদের অ্যাকাউন্টে ঢুকবে সেই টাকা।
গত বছরের ডিসেম্বর মাসে আরও ৪ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধি করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই থেকে ১০ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা পাচ্ছিলেন সরকারি কর্মীরা। কিন্তু নির্বাচনের দিন ঘোষণার আগেই রাজ্য সরকারের এই চমক খানিক স্বস্তিতে ফেলেছে সকলকে। গত মাসের বিধানসভা বাজেট পেশের সময় অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানিয়েছিলেন বর্ধিত DA সহ বেতন মিলবে চলতি মাস অর্থাৎ মে মাস থেকেই।
DA বৃদ্ধির ফলে কারা সবচেয়ে বেশি লাভবান হবেন?
জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকারি কর্মীদের DA বৃদ্ধির ঘোষণার পরেই সবথেকে বেশি উপকৃত হতে চলেছেন BCS ক্যাডারের কর্মীরা। সেই ডিপার্টমেন্টের ‘Senior Special Secretary’ পদে কর্মচারীদের বেসিক হয় ১ লাখ ৯০ হাজারের কাছাকাছি। যদি ৪ শতাংশ বর্ধিত DA মেলে তাহলে তাঁদের মোট আয় আরও বাড়বে প্রায় ৮০০০ টাকা। অন্যান্য সরকারি কর্মীদের ক্ষেত্রে যেটা গড়ে ৮০০ টাকা করে বাড়বে।
DA বৃদ্ধির অভিযোগে বিজেপি
প্রসঙ্গত, এর আগে ২০২৩ সালে বিধানসভা বাজেটে DA বৃদ্ধি করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও তা নিয়ে বিতর্ক কম হয়নি। বিজেপি অভিযোগ করেছিল, বিধানসভায় মূল যে নথি দেখে বাজেট ঘোষণা করছিলেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, সেখানে DA বৃদ্ধির উল্লেখ ছিল না। পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের হাতে একটি চিরকুট মারফৎ চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে জানিয়ে ছিল বাজেটে ৩ শতাংশ DA বাড়ানোর কথা ঘোষণা করতে। আর তার জেরেই তখন ঘোষণা হয়েছিল DA বৃদ্ধির।
আরও পড়ুনঃ আবহাওয়ার মুড সুইং, আজ ৫ জেলায় ঝড় থেকে শুরু করে বৃষ্টি! শনিতে গোটা দক্ষিণবঙ্গে ধামাকা
তবে পঞ্চম বেতন কমিশনের বকেয়া ডিএ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলাও চলছে। কেন্দ্রীয় হারে DA-র দাবিতে এখনও আন্দোলন জারি রেখেছে সরকারী কর্মীদের একাংশ। পাশাপাশি সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফেও বলা হয়েছে যে AICPI অনুযায়ী DA-র দাবিতে তাঁরা আন্দোলন করে যাবেন। এখন শীর্ষ আদালতের রায়ের উপর নির্ভর করছে সরকারী কর্মীদের ভবিষ্যৎ।