৮০,০০০ গাছ কেটে তৈরী হবে বারাণসী-কলকাতা এক্সপ্রেসওয়ে! মিলল নয়া আপডেট

Varanasi–Kolkata Expressway

সহেলি মিত্র, কলকাতা: সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে খুব শীঘ্রই এবার কলকাতা থেকে বারাণসী (Varanasi–Kolkata Expressway) যাওয়া খুব সহজ হবে। আর ১৩-১৪ ঘন্টা নয়, সড়কপথে মাত্র ৬ ঘন্টায় আপনি কলকাতা থেকে বারাণসী বা বেনারস থেকে পৌঁছে যেতে সক্ষম হবেন। আসলে বারাণসী থেকে এক্সপ্রেসওয়ের প্রথম পর্যায়ের কাজ শুরু হয়েছে। আসন্ন প্রকল্পটি উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড এবং পশ্চিমবঙ্গের মধ্য দিয়ে চলাচলের সময় দ্বিগুণ ঘন্টা থেকে কমিয়ে মাত্র ৬ ঘন্টা করবে। এই করিডোরের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জায়গা হল ছাতরা। এবার এই জায়গায় কিন্তু বারাণসী -কলকাতা এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের প্রক্রিয়া এবার অনেকটাই গতি পেয়েছে। হ্যাঁ একদম ঠিক শুনেছেন। আরও বিশদে জানতে চোখ রাখুন আজকের এই প্রতিবেদনটির ওপর।

বারাণসী-কলকাতা এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ প্রকল্পে নয়া মোড়!

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে একবার তৈরী হয়ে গেলে এই এক্সপ্রেসওয়েতে যানবাহনগুলিকে ১২০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা গতিতে চলাচল করতে পারবে। যার ফলে স্বাভাবিকভাবেই ভ্রমণের সময় হ্রাস পেয়ে সমস্ত রাজ্য অতিক্রম করা সম্ভব হবে। এখানে জানিয়ে রাখি, এই এক্সপ্রেসওয়ের প্রথম ধাপটি ১৩টি ধাপে নির্মিত হবে। এটি বারাণসী থেকে কাইমুরের চৈনপুর পর্যন্ত ২৭ কিলোমিটার বিস্তৃত হবে। জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে এবং এক্সপ্রেসওয়ের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে। এই ছাতরাতেও ৩৪২ হেক্টর বনভূমি অধিগ্রহণের অনুমোদনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ ধোনির দল থেকে বিতারিত এই ক্রিকেটারকে কিনে নিতে পারে KKR

শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, NHAI বা জাতীয় মহাসড়ক কর্তৃপক্ষ জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া সহজ করার জন্য সক্রিয়ভাবে কাজ করছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকদের ক্ষতিপূরণ প্রক্রিয়া প্রায় শুরু করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ২০৪ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ বিতরণ করার কথা রয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত মাত্র ২১৫ কোটি টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এদিকে, উত্তর বন বিভাগ জাতীয় মহাসড়ক কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছে। উত্তর বন বিভাগের কর্মকর্তা রাহুল কুমার মীনা বলেন, প্রায় ৪৩ কোটি টাকার দাবি করা হয়েছে, যার মধ্যে ২৯ কোটি টাকা বন ক্ষতিপূরণ এবং ১৪ কোটি টাকা বনভূমির জন্য অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এর কারণ অনুমোদন পেলে তবেই উভয়পক্ষে ৮০,০০০ গাছ কাটা হবে। বারাণসী-কলকাতা গ্রিন ফিল্ড এক্সপ্রেসওয়ের জন্য, দক্ষিণ ও উত্তর বন বিভাগ থেকে ৩৪২.৯৯২১ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ করা হবে। এর মধ্যে দক্ষিণ বন বিভাগ থেকে ২৪০.১৫৫৩ হেক্টর এবং উত্তর বন বিভাগ থেকে ১০২.৮৩৬৮ হেক্টর জমি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এখানে জানিয়ে রাখি, এই এক্সপ্রেসওয়ে তৈরীর ক্ষেত্রে উত্তর ও দক্ষিণ বন বিভাগের অনুমোদন খুবই প্রয়োজন।

২০২৮ সালের মধ্যে এক্সপ্রেসওয়েটি তৈরী হওয়ার সম্ভাবনা

এই এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পটি ঝাড়খণ্ডের সর্বাধিক সংখ্যক গ্রামকে অন্তর্ভুক্ত করে, যার মধ্যে ছাতরা জেলাতেই রয়েছে ৬৭টি। এর মধ্যে রয়েছে হান্টারগঞ্জ ব্লকের ২৮টি, ছতরা ব্লকের ১৮টি, পাথালগাড়া ব্লকের দুটি এবং সিমারিয়া ব্লকের ১৯টি গ্রাম। এর মোট দৈর্ঘ্য ৮৪.৩ কিলোমিটার। এর মধ্যে ৪৪৫.৫০ একর জমি রায়তী। যাইহোক, মানুষ প্রশ্ন তুলছেন কবে এই এক্সপ্রেসওয়েটি জন সাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে? আশা করা হচ্ছে আগামী ২০২৮ সালের মধ্যে এই রাস্তা খুলে দেওয়া হতে পারে।

Leave a Comment