সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: ফের ইডির খপ্পরে পড়ল অনিল আম্বানি (ED on Anil Ambani)। রিলায়েন্স গ্রুপের বিরুদ্ধে চলতে থাকা মানি লন্ডারিংয়ের মামলায় এবার সংস্থার ১৪০০ কোটি টাকার অস্থায়ী সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আর এই ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে আবারও শিরোনামে উঠে এল আম্বানি পরিবারের ছোট ভাইয়ের ব্যবসায়িক সাম্রাজ্য।
নতুন করে কী কী সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি?
বিজনেস টুডে’র রিপোর্ট অনুযায়ী খবর, এবার অনিল আম্বানির যে সম্পত্তিগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, সেগুলি ছড়িয়ে রয়েছে নবি মুম্বাই, চেন্নাই, পুনে এবং ভুবনেশ্বরে, যার মোট বাজার মূল্য দাঁড়াচ্ছে ১৪৫২ কোটি টাকা। বলাবাহুল্য, এই পদক্ষেপের মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগেই নভেম্বরে শুরুতে ইডি অনিল আম্বানির ৭৫০০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছিল। ফলে তার মোট বাজেয়াপ্ত সম্পদের পরিমাণ ছুঁয়েছে এবার ৯০০০ কোটি টাকার কাছাকাছি।
এদিকে তদন্তের প্রথম দফায় এজেন্সি জানিয়েছিল যে, আম্বানির মোট ৪২টি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হচ্ছে, যার মূল্য ৩০৮৩ কোটি টাকা। এছাড়া অনিল আম্বানির রিলায়েন্স গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত থাকা বিভিন্ন সংস্থার নামেই এই সম্পত্তিগুলি ছিল। এমনকি মুম্বাইয়ের পালি হিলের একটি অভিজাত বাসভবন, দিল্লির রিলায়েন্স সেন্টার সহ নয়ডা, গাজিয়াবাদ, পুনে, হায়দ্রাবাদ, চেন্নাইয়ের মতো শহরগুলিতে বহু বড় বড় অফিস এবং প্লট জমি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল।
কোন কোম্পানিগুলি বর্তমানে তদন্তের আওতায়?
একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী খবর, বর্তমানে অনিল আম্বানির নেতৃত্বাধীন রিলায়েন্স কমিউনিকেশন, রিলায়েন্স কমার্শিয়াল ফাইন্যান্স, রিলায়েন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার এবং রিলায়েন্স পাওয়ার তদন্তের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। এমনকি ইডি দাবি করছে, ২০১০ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে রিলায়েন্স কমিউনিকেশনস ও তার গ্রুপ সংস্থাগুলি দেশ-বিদেশের বিভিন্ন ব্যাঙ্ক থেকে মোট ৪১৮৫ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিল। এর মধ্যে পাঁচটি ব্যাঙ্ক সমস্ত ঋণকেই ফ্রড অ্যাকাউন্ট হিসেবে ঘোষণা করেছে।
আরও পড়ুনঃ ডায়ালে ১ টাকার মুদ্রা, মোদীর হাতে বিশেষ ‘রোম্যান বাঘ’ ঘড়ি! দাম কত জানেন?
ইডির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, একটি সংস্থা যে পরিমাণ ঋণ নিত, তা অন্য কোম্পানিতে শোধ করতে ব্যবহার করা হতো। এমনকি কিছু টাকা অন্যান্য সংস্থায় স্থানান্তর করা হতো। আর তদন্তে উঠে এসেছে ১৩,৬০০ কোটি টাকার বেশি এভারগ্রিনিংয়ে ব্যবহার করা হয়েছে। এমনকি ১২,৬০০ কোটি টাকা সংযুক্ত পক্ষগুলির কাছেই রয়েছে। এর পাশাপাশি স্থায়ী আমানত ও মিউচুয়াল ফান্ডে রয়েছে ১৮০০ কোটি টাকার বেশি। সবমিলিয়ে প্রায় ১০,০০০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।