বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: অবশেষে গলতে চলল নয়া দিল্লি-ঢাকার মধ্যেকার বরফ! দীর্ঘ অপেক্ষা কাটিয়ে অবশেষে বাংলাদেশিদের জন্য ব্যবসায়িক ভিসা ইস্যু করার কার্যক্রম পুনরায় শুরু করা হচ্ছে বলেই জানিয়ে দিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার প্রণয় ভর্মা (Business Visa For Bangladeshi Citizens)। তাঁর কথায়, “জরুরী ভিত্তিতে বিভিন্ন বিভাগের ভিসার আবেদনগুলিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে এবং দ্রুত প্রক্রিয়া শেষ করা হবে। গতকাল অর্থাৎ বুধবার ঢাকার বারিধারায় ভারতীয় হাইকমিশনে আয়োজিত নেটওয়ার্কিং এবং জ্ঞান বিনিময় অনুষ্ঠান থেকে এই প্রতিশ্রুতি দেন প্রণয় বাবু।
প্রয়োজনের ভিত্তিতে ব্যবসায়িক ভিসা পেয়ে যাবেন বাংলাদেশিরা
গতকাল ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত ফার্মা কানেক্ট থেকে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার প্রণয় ভর্মা একেবারে খোলাখুলি জানান, “বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা এবং আইন-শৃঙ্খলার মধ্যে থেকে নিয়ম-নীতি অনুযায়ী কয়েকটি ভিসা আবেদন কেন্দ্র সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছিল। তবে এবার নতুন করে অল্প কর্মী নিয়েই সেই কাজ পুনরায় শুরু করা হয়েছে।” প্রণয় বাবুর বক্তব্য, “বাংলাদেশিরা ভারতে যাওয়ার জন্য ব্যবসায়িক ভিসা পাচ্ছেন। বিশেষত জরুরী ভিসা আবেদনগুলি আমরা যত দ্রুত সম্ভব দিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছি। ব্যবসায়িক ভিসার প্রয়োজন হলে আবেদনকারীরা হাইকমিশনের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সচিবের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।”
না বললেই নয়, বুধবার ঢাকার ভারতীয় হাই কমিশনে অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া ফার্মা কানেক্ট এ আমন্ত্রিত ছিলেন বাংলাদেশের বিভিন্ন শীর্ষ ফার্মাসিউটিক্যাল কম্পানির উদ্যোক্তা থেকে শুরু করে সকল কর্মকর্তারা। তারাই ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে দীর্ঘদিন আটকে থাকা ভারতীয় ভিসা নিয়ে কথা বলেন। যাতে দ্রুত বাংলাদেশিরা ভারতে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ভিসা পান তারও আবেদন জানানো হয় বিভিন্ন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলির তরফে। আর সেই সব আবেদনের পরই অনুষ্ঠানের মাঝেই বড় ঘোষণা করলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার।
অবশ্যই পড়ুন: প্রাথমিকের নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে দায়ের হল মামলা! অনুত্তীর্ণরা বসতে পারবেন পরীক্ষায়? বড় খবর
উল্লেখ্য, শেষবারের মতো শেখ হাসিনার পতনের আগে পর্যন্ত ভারতে আসার জন্য সব রকম ভিসা পেতেন বাংলাদেশিরা। তবে আওয়ামী লিগ সরকারের পতন ঘটতেই ওপার বাংলায় শুরু হয় ইউনূস জামানা। তাতে চিন, পাকিস্তানের সাথে বেশি এবং ভারতের সাথে ক্রমশ সখ্যতা কমেছে বাংলাদেশের। বিভিন্ন সময়ে ওপারের প্রধানের নানান অনৈতিক মন্তব্যের কারণে চিড় ধরেছে নয়া দিল্লি-ঢাকা সম্পর্কে। সেই সব কারণেই রাজনৈতিক অস্থিরতাকে সামনে রেখে বন্ধ হয়ে যায় ভিসা প্রদান। যদিও পরবর্তীতে চিকিৎসা অর্থাৎ জরুরি প্রয়োজনে ভারতে আসার ভিসা দেওয়া হলেও অন্যান্য ক্ষেত্রে ভিসা-প্রদান বন্ধ ছিল। তবে এবার চিকিৎসার পাশাপাশি ব্যবসায়িক প্রয়োজনে ভারতে আসার জন্য ভিসা পাবেন ওপার বাংলার মানুষজন।