ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: গরমের ছুটিতে হোক কিংবা পুজোর ছুটি ভ্রমণপিপাসুদের কাছে পাহাড়ে ঘুরতে যাওয়া একটা বড় নেশা। তাইতো ব্যস্ততা এবং রোজনামচা কাজের মাঝে দীর্ঘ ৩-৪ দিনের ছুটি পেলেই ব্যাগপত্র গোছানো শুরু হয়ে যায় ঘুরতে যাওয়ার জন্য। কিন্তু ঘুরতে যাওয়ার জন্য পকেটে টাকা থাকা খুব জরুরি। আবার ঘুরতে গেলেও বেশি খরচা করা যাবে না। কিন্তু মাত্র ১২০০ টাকায় যদি পাহাড় ভ্রমণ হয়, তাহলে? না না মজা নয়, বাস্তবে সত্যিই এমনটা হবে। কীভাবে? তাহলে সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি পড়ে ফেলুন।
প্রত্যেকবার দার্জিলিং ভ্রমণ বেশ একঘেয়ে হয়ে যাচ্ছে বাঙালিদের কাছে। তাইতো আশেপাশে বেশ কয়েকটি অফবিট জায়গায় পাহাড়প্রেমীদের ভিড় বাড়ছে। তার মধ্যে অন্যতম হল পাহাড়ে ঘেরা, সবুজে ঢাকা সাজানো এক লেপচা জনপদ সিটং। আর শিলিগুড়ি থেকে মাত্র 57 কিমি। আকাশ ভরা মেঘ, আর মেঘের মাঝে পাহাড়৷ শীতকালে এই সময় চারিদিকে কমলালেবুর বাহার দেখা যাবে। কার্শিয়াং মহকুমার এই ছোট্ট এলাকাই এখন পর্যটন মানচিত্রের নতুন আকর্ষণ। এত সুন্দর মনমুগ্ধকর পরিবেশে ঘুরতে আসলে সাধ্যের মধ্যেও পর্যটকদের মিলবে কম খরচে হোম স্টে পরিষেবাও। যার মধ্যে অন্যতম হল সিটং হিলস্টে।
এই হোমস্টে এর সুবিধাগুলো কী কী?
এই সিটং হিলস্টেতে রয়েছে ফ্রী পার্কিং, ফ্রী ওয়াইফাই পরিষেবা। এছাড়াও প্রতিটি ঘরে গিজার ও প্রত্যেক রুমে ইলেকট্রিক কেটলির সু বন্দোবস্ত আছে। বয়স্ক নাগরিকদের জন্য হোমস্টে তে পৌঁছনো একদমই কষ্টকর নয় কারণ যেকোনো গাড়ি এই হোমস্টের মূল দরজা পর্যন্ত চলে আসে। পাশাপাশি খাবারের বন্দোবস্ত রয়েছে জবরদস্ত। সম্পূর্ণ বাঙালি রান্নায় থাকবে ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ, সান্ধ্যকালীন স্ন্যাকস আর ডিনার।
এছাড়াও রয়েছে বার্বিকিউ এবং ক্যাম্প-ফায়ার এর সুব্যবস্থা। সন্ধেকালীন আড্ডার জন্য থাকছে খোলামেলা বাম্বু কটেজ, যেখানে বসে পর্যটকেরা খোলা পাহাড়ের সন্ধ্যাকালীন রূপ দেখতে পারবে। আর তার সঙ্গে উপভোগ করতে পারবেন মচমচে স্নাকস ও দার্জিলিং চা। এই সবকিছুই মিলবে মাত্র ১২০০ টাকায়। সিটং থেকে লাবদা, সিক্সিন হয়ে ট্রেক করে চলে যাওয়া যায় চটকপুর আবার বাগোরা হয়ে কার্শিয়াং।
কোথায় কোথায় ঘুরতে যাওয়া যাবে?
মঙপু তে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাসস্থান, মহালদিরাম চা বাগান, আলধারা ভিউ পয়েন্ট, নামথিং পোখরি লেক, ১০০ বছর পুরনো বুদ্ধ গুমফা এবং অরেঞ্জ গার্ডেন, যাবার পথেই পাবেন ছোট্ট পাহাড়ি দামাল নদী রিয়াং খোলা।