ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: হাতে মাত্র আর কয়েকটা দিন। আগামী ১ জুন রাজ্যে সপ্তম অর্থাৎ শেষ দফার লোকসভা নির্বাচন হতে চলেছে। তাই সমস্ত জায়গায় ইতিমধ্যেই পুলিশি নিরাপত্তার পাশাপাশি চলছে জোরকদমে ভোট প্রচার এবং জনসভা। প্রধানমন্ত্রী থেকে মুখ্যমন্ত্রী সকলেই রাজ্যের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে পড়েছে প্রচার ও জনসভা করতে। কিন্তু এসবের মাঝেই সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের মিছিল করতে বাঁধা দেয় কলকাতা পুলিশ। আর তাতেই রণমূর্তি ধারণ করে কলকাতা হাইকোর্ট।
DA র দাবিতে মিছিলে বাধা পুলিশের
আজ অর্থাৎ বুধবার DA-র দাবিতে এবং তাদের উপর হামলার প্রতিবাদে পাণ্ডবেশ্বর রেলস্টেশন থেকে ফুলবাগান দুর্গা মন্দির পর্যন্ত মিছিল ও সভা করার কথা জানায় সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। কিন্তু সেই মিছিলে ঘোরতর আপত্তি জানায় কলকাতা পুলিশ। সেই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। কিন্তু সেখানেই স্বস্তি মেলে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাই চট্টোপাধ্যায়ের অবকাশকালীন বেঞ্চ সেই মিছিল ও সভার অনুমতি দিয়েছে। বলা হয়েছে, বুধবার দুপুর ১২ টায় পশ্চিম বর্ধমান জেলার পাণ্ডবেশ্বর রেলস্টেশন থেকে ফুলবাগান দুর্গামন্দির পর্যন্ত মিছিল ও সেখানে সভা করতে পারবে ওই সংগঠন।
গ্রিন সিগন্যাল দিল হাইকোর্ট
শুধু অনুমতি নয়, এর পাশাপাশি সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের মামলায় জেলায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি। পুলিশের আচরণ প্রসঙ্গে তিনি মন্তব্য করেন, ‘জেলায় পুলিশ নিজেকে সর্বেসর্বা মনে করে। তাদের জেলা আদালত বন্ধ করতেও দেখেছি। এটা ঠিক নয়।’ এমনকি আদালতের তরফ থেকে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে কেন কর্মসূচির অনুমতি দেওয়ার ব্যাপারে ‘অতি সক্রিয়তা’ দেখাচ্ছে পুলিশ। এদিকে পাল্টা রাজ্য সরকার জানায় যেহেতু নির্বাচন চলছে, তাই বর্তমানে সভা ও মিছিলের অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়।
আরও পড়ুনঃ অস্বস্তিকর গরমের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের ৬ জেলায় বৃষ্টি, সঙ্গী ঝোড়ো হাওয়া! আজকের আবহাওয়া
কিন্তু নির্বাচন কমিশনার এর গলায় শোনা গেল অন্য সুর। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সভা ও মিছিল প্রসঙ্গে তাঁদের কোনও আপত্তি নেই। যেহেতু এই মিছিলের সঙ্গে ভোটের কোনও সম্পর্ক নেই, তাই তাদের আপত্তি নেই। তবে এই ঘটনা প্রথমবার নয়। এর আগে গত বছর মে মাসেও পুলিশি নির্দেশ খারিজ করে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চকে হরিশ মুখার্জি রোড দিয়ে মিছিলের অনুমতি দিয়েছিল হাই কোর্ট।