ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই আবহাওয়া দফতর ইঙ্গিত দিয়েছিল ঘূর্ণিঝড় রেমালের। এবং সেই পূর্বাভাস অনুযায়ী গত রবিবার মাঝরাতে প্রচণ্ড গতিবেগে ল্যান্ডফল হয়। ঘূর্ণিঝড়ের জেরে দু’দিন ঝড়-বৃষ্টিতে বেশ কিছুটা তাপমাত্রা কমেছিল। কিন্তু দুর্যোগের পালা শেষ হতেই তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ফের বঙ্গে হাজির অস্বস্তিকর আবহাওয়া। আবারও সেই প্যাচেপ্যাচে গরম অনুভূত হচ্ছে। কিন্তু সেই চিত্র আবার উল্টো উত্তরবঙ্গে।
ভারী বৃষ্টির সতর্কতা হাওয়া অফিসের
সূত্রের খবর, অসমে এই মুহূর্তে তৈরি হয়েছে নিম্নচাপ। যার জেরে আগামী পাঁচদিন উত্তরের তিন জেলা অর্থাৎ আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি ও কোচবিহারে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শুধু তাই নয় আগামীকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে অতিভারী বৃষ্টির সতর্কবার্তা জারি হয়েছে। বাদ যায়নি দার্জিলিং, কালিম্পংও। সেখানেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যেই সিকিমে অবিরাম বৃষ্টির জেরে জলস্তর বাড়তে শুরু করেছে তিস্তায়। ধীরে ধীরে বিপদসীমায় পা রাখতে চলেছে মাল মহকুমার অন্তর্গত টোটগাঁও এলাকায় গ্রাম।
এদিকে দক্ষিণবঙ্গে আজ বিক্ষিপ্তভাবে দু-এক পশলা হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কোথাও কোথাও আবার বজ্র বিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিও হতে পারে। তবে সপ্তাহান্তে অর্থাৎ সপ্তম দফার ভোটের দিন কলকাতাসহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় কিছুটা বৃষ্টি হতে পারে। কিন্তু এখনই তাপমাত্রা কমার খুব একটা সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
বঙ্গে কবে বর্ষা?
অন্যদিকে মৌসম ভবন সূত্রে খবর, ১ জুনের মধ্যে কেরালাতে বর্ষা প্রবেশ করার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে, বাংলায় কবে বর্ষা ঢুকবে, সে বিষয়ে আপাতত কোনো স্পষ্ট নির্দেশিকা প্রকাশ করেনি মৌসম ভবন। হিসাব অনুযায়ী প্রতিবার সাধারণত ১১ জুনের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে বর্ষা প্রবেশ করে যায়। তবে সেটি নির্ভর করে কেরলে প্রবেশের পরে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু সক্রিয়তার ওপর। অর্থাৎ কেরলে স্বাভাবিক সময়ে বর্ষা ঢুকলে পশ্চিমবঙ্গে যে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু প্রবেশ করবে, সেরকম কোনও নিশ্চয়তা নেই।