ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: আরও একবার খবরের শিরোনামে মলদ্বীপ। ভারত-মলদ্বীপ এর দ্বন্দ্ব ঘিরে নানা ঘটনা বেশ কয়েকদিন ধরে খবরের শিরোনামে ঘুরপাক খাচ্ছিল। কখনও ভারত সেনা সরানোর নির্দেশ তো কখনও আবার ভারতীয় সেনার বিরুদ্ধে নিয়ম লঙ্ঘন এর অভিযোগ এনেছিল মলদ্বীপ। কিন্তু এবার মলদ্বীপ বিপাকে পড়েছে অন্য সমস্যায়। যা দরুন সেই দেশকে সাহায্য করতে এগিয়ে এল আরেক দেশ।
মলদ্বীপকে বড় উপহার দিল চিন
আরও একবার তীব্র জলসংকটে ভুগল মলদ্বীপ। কিন্তু সেই জল সংকট মেটাতে এগিয়ে এল চিন। চলতি বছরের মার্চের পর এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো চিন অধিকৃত তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের হিমবাহ থেকে জল বের করে মলদ্বীপে পাঠিয়েছে চিন। সেই জলের পরিমাণ প্রায় ১৫০০ টন। প্রথমদিকে ভারত যেমন মলদ্বীপের মানুষের জন্য হাজার হাজার টন জল পাঠিয়েছিল। চিন কিন্তু তিব্বতের হিমবাহ থেকে জল পাঠিয়েছিল শুধুমাত্র প্রেসিডেন্ট মুইজ্জুর ব্যবহারের জন্য। কিন্তু জলের চালান আসার কয়েক দিন পরে জানাজানি হয়ে যায়। যার দরুন মলদ্বীপের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিজেই বিবৃতি দিয়ে তিব্বত থেকে জল আসার কথা জানিয়েছিল। কিন্তু মুইজ্জু সরকার তাঁর ব্যক্তিগত জল ব্যবহারের অভিযোগ তখন প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।
মলদ্বীপের সংকটে এগিয়ে এসেছিল ভারত!
এদিকে ২০১৪ সালে মলদ্বীপে যখন তীব্র জল সংকট দেখা দিয়েছিল তখন ভারতই অপারেশন নীরের আওতায় বিমানে করে ১২ ঘণ্টার মধ্যে মলদ্বীপে জল পাঠিয়েছিল। এবং আরও দু’টি ভারতীয় জাহাজ ২০০০ টন জল বোঝাই করে মালে পৌঁছে মলদ্বীপকে পানীয় জলের সংকট মোকাবেলায় সাহায্য করেছিল। শুধু তাই নয় ২০০৪ সালের সুনামি এবং করোনা মহামারীতেও জল পাঠানো ছাড়াও ভারত মলদ্বীপ বাসীদের বিভিন্নভাবে সাহায্য করেছিল। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে চিন শুধুমাত্র মুইজ্জুর জন্য ১৫০০ টন জল ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য পাঠিয়ে চিন ও মলদ্বীপের মধ্যে এক আলাদা সম্পর্কের বহিঃপ্রকাশ করল।
আরও পড়ুনঃ গরমের ছুটি নিয়ে এবার শিক্ষক মহলে চরম অসন্তোষ! ফের কিছু হতে চলেছে? প্রকাশ্যে বড় খবর
এদিকে মলদ্বীপের পররাষ্ট্রমন্ত্রী চিনের পাঠানো জলের প্রসঙ্গে বলেন যে, পানীয় জলের এই চালানটি জল সংকটে ভুগতে থাকা মলদ্বীপে বিশুদ্ধ পানীয় জল সরবরাহে সহায়তা করবে। পাশাপাশি জামিরের সেই টুইট শেয়ার করে, ওয়াং লিক্সিন লিখেছেন, ‘শিজাং স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল থেকে দান করা ৫১০০ মিটার উচ্চ হিমবাহের প্রিমিয়াম জল পাহাড় এবং সমুদ্রের মধ্য দিয়ে মালেতে পৌঁছতে দেখে খুব আনন্দ লাগছে। এটি চিন ও মলদ্বীপের জনগণের মধ্যে গভীর বন্ধুত্ব এবং তিব্বতের জনগণের মহানুভবতাকে প্রতিফলিত করে।