ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: লটারি হল এমন একটা জিনিস যার কয়েকটি সংখ্যা মুহূর্তেই ভাগ্যের চাকা পরিবর্তন করে দেয়। আবার ভাগ্য সহায় না থাকলে কপালে জোটে শূন্য। তবে সবসময় যে কপালে শূন্যই জুটবে তা কিন্তু নয়। কারণ এর আগে অনেকেই এই লটারি কেটে লাখপতি বা কোটিপতি হয়েছে। সম্প্রতি এমনই একজন দিনমজুরের ভাগ্য খুলেছে মাত্র ৬০ টাকাতেই। অবাক হচ্ছেন নিশ্চয়ই? তাহলে দেরি না করে চটপট পর নিন এই সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি।
বাঁকুড়ার খাতড়ার বৈদ্যনাথপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কাদড়ার বাসিন্দা আনন্দ সরকার। পেশায় তিনি দিনমজুর। পরিবারে রয়েছে স্ত্রী, দুই সন্তান। সন্তানদের পড়াশোনার খরচ, সংসার খরচ, রীতিমতো নাজেহাল তিনি। গোটা সংসারের দায়িত্ব তাঁর একার কাঁধে। কারণ তিনিই ওই সংসারের একমাত্র রোজগেরে মানুষ। কিন্তু নিত্যদিন কষ্টে কাটলেও লটারি কাটার নেশা তাঁর মনে গেঁথে রয়েছে। হয়তো এই আশাতেই রোজ লটারি কাটেন যে একদিন আর্থিকভাবে পরিবার স্বচ্ছল হয়ে উঠবে। কিন্তু আনন্দের ভাগ্য যে এতটাই পাল্টি খাবে, কেউ সেটা ভাবতেই পারেনি। রাতারাতি তিনি হয়ে উঠলেন গ্রামের একমাত্র কোটিপতি।
মাত্র ৬০ টাকায় কোটিপতি!
সূত্রের খবর, গত ২৭মে টিকিট কাজের জন্য স্থানীয় আড়কামা মোড়ে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই এক লটারির দোকান থেকে মাত্র ৬০ টাকা দিয়ে ‘এক ঘর’ লটারির টিকিট কাটেন তিনি। আর সেই ৬০ টাকাই তাঁর জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। বাড়ি পৌঁছানোর কিছুক্ষণের মধ্যেই কাউন্টারের মালিক তাঁকে ফোন করে জানায় যে তিনি জিতে গেছেন। পেয়ে গিয়েছেন ১ কোটি টাকা। আনন্দে একেবারে আত্মহারা হয়ে উঠেছেন তিনি। যদিও এত টাকা নিয়ে কী করবেন সেটা এখনও অবধি ঠিক করে উঠতে পারেননি তিনি।
আরও পড়ুনঃ ২৫ শতাংশ টাকা দিয়ে আগেই করুন সিট লক, যাত্রার সময় মিলবে কনফার্ম টিকিট! উদ্যোগ রেলের
আনন্দবাবুর এহেন সাফল্যে পরিবার থেকে শুরু করে স্থানীয় মানুষজন অনেক খুশি হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য আনন্দ সরকার টিকিট নিয়ে সটান হাজির হন খাতড়া থানায়। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, তিনি বলেন, ‘কোটি টাকা পাব কোনওদিন ভাবতেও পারিনি। এই খবরটা পাওয়ার পর একটু ভয় লেগেছিল। এরপরেই থানার সঙ্গে যোগাযোগ করি।’ পাশাপাশি তিনি এও বলেন যে সংসার টানতে গিয়ে ছেলে মেয়েদের পড়াশোনার খরচ চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছিল। তবে এই টাকায় এবার ওদের ভালোভাবে পড়াতে পারবেন বলে আশা রাখেন।