ইন্ডিয়া হুড ডেস্কঃ বিগত কয়েকবছরে ভারতের সামরিক শক্তি বেড়েছে কয়েকগুণ। স্বাভাবিক ভাবেই তাই পাকিস্তান এবং চিনের চিন্তা বেড়েছে। কিছুদিন আগে ৩৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান শক্তিশালী করে তোলে বায়ুসেনাকে। বায়ুসেনার পর এবার নৌসেনা রাফাল বিমান নিয়ে বেশ আগ্রহী। Rafale বিমানের নৌ-সংস্করণ, Rafale-M নিয়ে বেশ আগ্রহ দেখিয়েছে ভারতীয় নৌসেনা। বায়ুসেনার শক্তি যেমন বেড়েছে তেমনই নৌসেনারও শক্তিবৃদ্ধি করবে এই নতুন বিমান।
Aircraft Carrier থেকে অপারেট করার জন্য মোট ২৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান কিনতে পারে ভারত। এজন্য ৫০,০০০ কোটি টাকার চুক্তি স্বাক্ষর হতে পারে ভারত এবং ফ্রান্সের মধ্যে। চলতি সপ্তাহটি এই কাজের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ন। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম হতে জানা যাচ্ছে, ২৬টি রাফাল কেনার জন্যই ফ্রান্সের সাথে আলোচনা চালাচ্ছে ভারত। এক্ষেত্রে অবশ্য ভারতের টার্গেট পাকিস্তান নয়, বরং ভারত মহাসাগরে চিনকে নজরে রাখা। দুটি বিমানবাহী রণতরীর জন্য রাফাল এম কিনতে আগ্রহী ভারতীয় নৌসেনা।
৩০মে এই নিয়ে বৈঠক শুরু হয় যাবে। ফ্রান্সের সরকার, ডাসাল্ট কোম্পানি এবং অস্ত্র নির্মাতা থ্যালেসের একটি দল ভারত এসেছে। আর এই দলের সাথে কথাবার্তা চালাবে ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি দল। প্রায় ৩০,০০০ কোটি টাকা খরচ করে Mazagon ডকে নির্মিত ২৬টি Rafale-M এবং তিনটি অতিরিক্ত Scorpene সাবমেরিনের জন্য চুক্তিগুলি গত বছরের ১৩ জুলাই রাজনাথ সিংয়ের প্রতিরক্ষামন্ত্রী থাকার অধিগ্রহণ করা হয়। প্যারিসে মোদি-ম্যাক্রোঁ সম্মেলনের একদিন আগে এই ঘটনা ঘটে। এর আগে ২০১৬ এর শুরুর দিকে ভারত তার বিমান বাহিনীর জন্য ৩৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান কেনে।
বায়ুসেনার রাফাল থেকে কতটা আলাদা Rafale-M?
বায়ুসেনার রাফালের থেকে বেশ আলাদা নৌসেনার Rafale। Rafale M কে ক্যারিয়ার ভিত্তিক অপারেশনের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ক্যাটাপল্ট বা র্যাম্প লঞ্চ এবং নোনা জলের পরিবেশে দুরন্ত উড়ন্ত ক্ষমতা। এছাড়া যুদ্ধবিমানটির ভাঁজ করা ডানাগুলো কিন্তু বেশ শক্তিশালী। নৌবাহিনীর ফাইটার জেট প্রায়শই এয়ার ফোর্সের জেটের তুলনায় হালকা হয়। এইভাবে, রাফালে এমও বায়ুসেনার রাফালের চেয়ে হালকা। কম দূরত্বে উড়তে পারার ক্ষমতাও রয়েছে স্বাভাবিক ভাবেই।