ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: কাল বাদে পরশু রাজ্যে সপ্তম দফার ভোট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। দফায় দফায় বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা ঝড়, জল ও গরমকে উপেক্ষা নিজেদের সাধ্যমত ভোটের প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু রাজ্যে ভোটের লড়াইয়ের দ্বন্দ্বে সকলে মেতে উঠলেও, নজর শুধু রয়েছে সন্দেশখালিতে।
চলতি বছর লোকসভা নির্বাচনে বসিরহাট কেন্দ্র থেকে এবার সন্দেশখালির ‘প্রতিবাদী মুখ’ রেখা পাত্রকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। যে কিনা প্রথম সন্দেশখালির অত্যাচারের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিলেন। আর তাঁকে ঘিরেই সাহস জুগিয়ে তাল মিলিয়ে ছিল বাকি গ্রামের মহিলারা। এমনকি সেই বাড়ির বধূর সঙ্গেই ফোনে কথা বলেছেন নরেন্দ্র মোদীও। আহ্বান করেছেন রাজনীতিতে। কিন্তু বিজেপি-তে নাম লেখানোর পর থেকেই রেখা পাত্রের বিরুদ্ধে উঠে এসেছে একের পর এক অভিযোগ। শুধু তাই নয় একই রাজ্যের বাসিন্দা হয়েও সন্দেশখালির সেই আন্দোলনরত মহিলারাও বঞ্চিত হয়েছে রাজ্য সরকারের দেওয়া প্রকল্পের সুবিধা থেকে।
সরকারের সুবিধা থেকে বঞ্চিত সন্দেশখালির বাসিন্দারা!
সেখানকার স্থানীয় একাধিক মহিলারা জানান, আগে যাও বা রাজ্য সরকারের প্রকল্পের সুবিধা পেতাম। বর্তমানে সেই সুবিধাও ফুরিয়ে গিয়েছে। গত কয়েক মাস ধরে আর টাকা পাওয়া যায় না। এমনকি লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা বন্ধ করে দিয়েছে। তাঁরা মনে করছে সন্দেশখালির মহিলারা যেহেতু আন্দোলন করেছে তাই এই ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার। অন্যদিকে সন্দেশখালির বাসিন্দা সাগরি নামের এক মহিলা জানান, ‘বাড়ির যুবকরা পেটের টানে ভিনরাজ্যে কাজ করেন। কোনওরকমে কষ্টে দিন চালাতে হয় তাঁদের। এখন ভবিষ্যৎ জানে তাঁদের ভাগ্যে কী লেখা আছে।
আরও পড়ুনঃ ২৪ ঘণ্টায় কেরলে প্রবেশ বর্ষার, বাংলায় আর কতদিনের অপেক্ষা? বড় খবর দিল IMD
প্রতিবাদ করায় এইরূপ ভাবে প্রকল্পের সুবিধা বন্ধ করে দেওয়ায় নানা প্রশ্নের মুখে পড়েছে সরকার। রাজ্যের একাংশের মতে বর্তমানে শাসক দলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা মানেই জীবনে বিপদ ডেকে আনার মত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এদিকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধের প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা অচ্যুতানন্দ নস্কর বলেন, ‘কী হয়েছে বলতে পারব না। তবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কারোর বন্ধ করা হয়নি। মিথ্যে বলছেন তাঁরা।’