ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: বিশ্বের এমন বেশিরভাগ দেশ রয়েছে, যাদের নির্দিষ্ট সোনা ব্যাঙ্ক অব ইংল্যান্ডের ভল্টে রাখা হয়ে থাকে। আর সেই তালিকায় রয়েছে ভারতও। কিন্তু ভারতের গচ্ছিত সোনা নিয়ে এক বড় উদ্যোগ গ্রহণ করল RBI সংস্থা। মনে করিয়ে দিল ১৯৯১ সালের ঘটনা।
সম্প্রতি একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৯১ সালের পর এই প্রথম ভারত ব্রিটেন থেকে প্রায় ১০০ টন বা এক লক্ষ কিলোগ্রাম সোনা RBI-এর স্টকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। শুধু তাই নয় বলা হয়েছে, আগামী মাসে একই পরিমাণ হলুদ ধাতু আবার দেশে আনা হতে পারে। জানা যায়, ১৯৯১ সালে ভারত চরম ভারসাম্য সংকট এর মুখোমুখি হয়েছিল। তখন চন্দ্রশেখর সরকার সেই সংকট মোকাবিলা করার জন্য সোনা বন্ধক রেখেছিল। সেই বছরেই জুলাই মাসে ৪ থেকে ১৮ তারিখের মধ্যে RBI ৪০০ মিলিয়ন ডলার সংগ্রহের জন্য ব্যাঙ্ক অফ ইংল্যান্ড এবং ব্যাঙ্ক অফ জাপানের সঙ্গে ৪৬.৯১ টন সোনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।
সোনা কেনার দৌঁড়ে RBI
এরপর ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এর শাসনকালে ভারতে সম্পদের বৈচিত্র্য আনতে RBI ৬.৭ বিলিয়ন মূল্যের প্রায় ২০০ টন সোনা কিনেছিল। RBI এর গত কয়েক বছরে হিসেবের পরিসংখ্যান দেখলে বোঝা যায় যে RBI এর সোনা কেনার মজুদ ক্রমেই বেড়ে চলেছে। এদিকে বাজারে সোনার দাম ঊর্ধ্বমুখী। ফলে জনসাধারণের মনে স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন জাগছে কেন RBI এত সোনা কেনে।
কেন সোনা কেনে RBI?
জানা গিয়েছে, মূল্যস্ফীতি এবং বৈদেশিক মুদ্রার ঝুঁকির বিরুদ্ধে মোকাবিলা করতে বৈদেশিক মুদ্রার সম্পদের ভিত্তি বৈচিত্র্যময় করা হয়ে থাকে। ২০১৭ সালের ডিসেম্বর থেকে RBI ক্রমাগত বাজার থেকে নিয়মিত সোনা সংগ্রহ করা শুরু করেছে। হিসেবের পরিসংখ্যান দেখলে বোঝা যায় দেশের মোট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে সোনার অংশ ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের শেষে ৭.৭৫ শতাংশ থেকে ২০২৪ সালের এপ্রিলের শেষে প্রায় ৮.৭ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ভারতীয় সেনা, লক্ষদ্বীপ অতীত! এবার নয়া বিতর্ক মলদ্বীপে, মইজ্জুর বিরুদ্ধে ফুঁসছে তাঁরই মন্ত্রক
RBI-এর অর্ধেকেরও বেশি সোনার মজুদ বিদেশে নিরাপদে ব্যাঙ্ক অফ ইংল্যান্ড এবং ব্যাঙ্ক অফ ইন্টারন্যাশনাল সেটেলমেন্টের কাছে রাখা হয়েছে৷ এর প্রায় এক তৃতীয়াংশ দেশীয়ভাবে রাখা হয়। দেশের মধ্যে, মুম্বাই এবং নাগপুরের মিন্ট রোডের RBI বিল্ডিং-এ অবস্থিত সেফগুলিতে সোনা রাখা হয়।