DA নিয়ে ক্ষোভ বাংলায়, ওদিকে কেন্দ্র দিল আরও একটি উপহার! লটারি লাগল কর্মীদের

Published on:

employee-da

ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণার আগেই কেন্দ্রীয় সরকার কর্মীদের DA বৃদ্ধির পরিমাণ প্রায় ৪ শতাংশ বাড়িয়ে দিয়েছিল। যেখানে আগে DA দেওয়া হত ৪৬ শতাংশ সেখানে এই মুহূর্তে ৪ শতাংশ DA বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ শতাংশে। শুধু তাই নয়, বেশ কিছুদিন আগে মোদি সরকার ৬ ধরনের ভাতা বৃদ্ধি করেছিল সরকারী কর্মীদের জন্য। চিলড্রেন্স এডুকেশন অ্যালাওয়েন্স, চাইল্ড কেয়ার স্পেশাল অ্যালাওয়েন্স, রিস্ক অ্যালাওয়েন্স, নাইট ডিউটি অ্যালাওয়েন্স, ওভারটাইম অ্যালাওয়েন্স, সংসদীয় অ্যাসিস্টেন্টদের জন্য বিশেষ ভাতাও বাড়ানো হয়েছিল। এবার টার্গেট কর্মীদের গ্র্যাচুয়িটি।

কপাল খুলল কেন্দ্রীয় কর্মচারীদের

আজ রাজ্য জুড়ে সপ্তম দফার ভোট নির্বাচন। আর এই আবহেই এবার বড় পদক্ষেপ নিল কেন্দ্রীয় সরকার। আরও একবার কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের মুখে হাসি ফোঁটাতে গ্র্যাচুয়িটি লিমিট বৃদ্ধি করা হল। গত ৩০ মে, মিনিস্ট্রি অফ লেবার অ্যান্ড এমপ্লয়মেন্টের তরফে প্রকাশিত হয়েছিল অফিস মেমোরেন্ডাম। সেখানে বলা হয়েছে, সেন্ট্রাল সিভিল সার্ভিসেস এবং সেন্ট্রাল সিভিস সার্ভিসেস (পেনশন)-এর আওতাভুক্ত কর্মীদের গ্র্যাচুয়িটি লিমিট একেবারে ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি করা হতে চলেছে। অর্থাৎ ২০ লক্ষ টাকার বদলে গ্র্যাচুয়িটির অর্থ বৃদ্ধি পেতে চলেছে ২৫ লক্ষ টাকায়। তবে এই বিজ্ঞপ্তি কেন্দ্রীয় সরকারী কর্মীদের কাছে সুখবর বয়ে আনলেও, রাজ্যের সরকারী কর্মীদের কাছে ক্ষোভের কারণ হয়ে উঠল।

WhatsApp Community Join Now

বঞ্চনার শিকার রাজ্যের সরকারি কর্মীরা!

এমনিতেই রাজ্যের সরকারী কর্মীদের DA, কেন্দ্রীয় কর্মীদের তুলনায় প্রায় ৩৬ শতাংশ কম। তার উপর এখনও পর্যন্ত রাজ্যের সরকারি কর্মীদের গ্র্যাচুয়িটি লিমিট বৃদ্ধির কোনও আশা নেই। এই আবহে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের একের পর এক ভাতা বৃদ্ধিতে অসন্তোষ সৃষ্টি হল। সেই প্রসঙ্গে এবার রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ গুপ্ত চৌধুরী কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুললেন।

আরও পড়ুনঃ লক্ষ লক্ষ সরকারি কর্মীদের পুড়ল কপাল, DA অসন্তোষের মধ্যেই নজিরবিহীন রায় কোর্টের

এদিন বিশ্বজিৎ গুপ্ত চৌধুরী বলেন, ‘সপ্তম পে কমিশনের সময়ই গ্র্যাচুয়িটির ঊর্ধ্বসীমা কেন্দ্রের কর্মীদের ক্ষেত্রে ২০ লক্ষ টাকা এবং রাজ্যের কর্মীদের ক্ষেত্রে ১২ লক্ষ টাকা ধার্য করা হয়েছিল। এই অতিরিক্ত ১৩ লক্ষ টাকা কেন্দ্রের কর্মীদের জন্য বরাদ্দ করে আখেরে রাজ্যের কর্মীদেরই বঞ্চনার শিকার হতে হচ্ছে।’ এই বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে, বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল। তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রের কর্মীদের সঙ্গে রাজ্যের শিক্ষক ও কর্মচারীদের ডিএ-এর মধ্যে ৩৬% পার্থক্য তো আছেই। এর সঙ্গেই দ্বিগুণেরও বেশি গ্র্যাচুয়িটির ফারাক সেই বিভেদ আরও বৃদ্ধি করল। এর উপযুক্ত ব্যবস্থা গণতান্ত্রিক উপায়ে দ্রুত গ্রহণ করা প্রয়োজন।’

বাছাই করা গুরুত্বপুর্ন খবর পেতে গ্রুপে যুক্ত হোন