ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে গরমের ছুটি শেষ হতে চলেছে। আজ থেকেই রাজ্যের প্রতিটি সরকারী বিদ্যালয়গুলি খুলতে চলেছে। তবে ছাত্র ছাত্রীদের পঠন পাঠন শুরু হবে আগামী ১০ জুন থেকে। আজ থেকে স্কুলে শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীরা যোগদান করবে। কিন্তু এর মাঝেই আবার এক বড় সমস্যার সৃষ্টি হল।
গত এপ্রিল মাসে অর্থাৎ লোকসভা নির্বাচন শুরু হওয়ার আগে কলকাতা হাইকোর্ট ২০১৬ সালের শিক্ষক নিয়োগের প্যানেল পুরোপুরি বাতিল ঘোষণা করেছিল। কিন্তু সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য এবং ভুক্তভোগী শিক্ষকদের বেশ কয়েকটি মঞ্চ। তার পরেই শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীদের চাকরি বাতিলের নির্দেশে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
মুচলেকা সংক্রান্ত নোটিশ
আজ ২৫ হাজার ৫৭৩ জন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিলের নির্দেশে সুপ্রিম কোর্ট অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেওয়ার পর সেই সমস্ত শিক্ষকরাও কাজে যোগ দিতে চলেছেন। তবে শীর্ষ আদালতের নির্দেশে মুচলেকা জমা দিতে হবে তাঁদের। কিন্তু কে নেবে সেই মুচলেকা, এ বিষয়ে শিক্ষা দফতরের তরফ থেকেও কোনও বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না করার বিপদে পড়েছে স্কুলের প্রধান শিক্ষকরা। এদিকে SSC কমিশনের কাছে রাজ্যে যোগ্য এবং অযোগ্য শিক্ষাকর্মীদের তালিকা প্রকাশ্যে আনার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। জানা গিয়েছে এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে আগামী ১৬ জুলাই।
মুচলেকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ বঙ্গীয় শিক্ষক সমিতির
বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের মধ্যে এই প্রসঙ্গে এক বিক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। সেই সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল জানান, ‘সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী সবাইকে মুচলেকা দিয়েই গরমের ছুটির পর স্কুলে জয়েন করতে হবে। যদিও বিষয়টা অত্যন্ত অপমানজনক, কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও এটা সত্যি যে এই সরকার শিক্ষকদের এই অবস্থায় নামিয়ে দিয়েছে। তবে যাঁরা দুর্নীতির মাধ্যমে নিযুক্ত হয়েছেন, তাঁরা মুচলেকা দেওয়ার ঝুঁকি নেবেন বলে মনে হয় না, কারণ তাঁদের চাকরি এক দিন বাতিল হবেই। তবে প্রধান শিক্ষক, শিক্ষিকারা শিক্ষা দফতরের নির্দেশ না পেলে আগ বাড়িয়ে মুচলেকা নেবেন না। শিক্ষা দফতরের নির্দেশ অনুযায়ী তাঁরা কাজ করবেন।’