প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে একের পর এক নানা অভিযোগ উঠে আসছে। কখনও তালিকা নিয়ে বিতর্ক তো কখনও আবার ভেরিফিকেশন নিয়ে। এমতাবস্থায় আন্দোলনের পথে নামলেন আশাকর্মীরা। আসলে কাজের নিরিখে পরিশ্রম এবং দায়িত্ব যতটা, পারিশ্রমিক বা সামাজিক সুরক্ষার ক্ষেত্রে তার প্রতিফলন একদম নেই বললেই চলে, ফলে উত্তরোত্তর ক্ষোভ বাড়ছে অ্যাক্রেডিটেড সোশ্যাল হেল্থ অ্যাকটিভিস্ট বা আশাকর্মীদের মধ্যে। তাইতো এবার বেতন বাড়ানো, স্বাস্থ্যকর্মীর মর্যাদা-সহ নানা দাবি নিয়ে আজ অর্থাৎ শুক্রবার হুগলির (Hooghly) চুঁচুড়াতে পথ অবরোধ করলেন তাঁরা। যার জেরে ব্যস্ত সময়ে পথ অবরোধ হয়ে মহাবিপদে পড়লেন স্থানীয়রা।
পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ আশা কর্মীদের
স্থানীয় রিপোর্ট অনুযায়ী, আজ অর্থাৎ শুক্রবার, দুপুরে হুগলির চুঁচুড়ায় ঘড়ির মোড়ে আশাকর্মীরা চারিদিক থেকে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। এমনকি ওই চত্বর দিয়ে কোনোভাবেই কোনো গাড়ি যাতায়াত করতে দেওয়া হচ্ছে না। সূত্রের খবর, বিক্ষোভকারীদের মূল অভিযোগ হল সরকারের দেওয়া মোবাইল পরিষেবা নিয়ে। ‘সুষ্ঠু কাজ’ ও ‘উন্নততর পরিষেবা’ দেওয়ার জন্যেই রাজ্যের আশা-অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের মোবাইল ফোন কেনার টাকা তুলে দিয়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু সেই মোবাইল নেওয়ার পর থেকেই একাধিক বিড়ম্বনায় পড়েছেন অনেকেই। আর তাতেই ক্ষুব্ধ সকলে।
সরকারি মোবাইল পরিষেবা নিয়ে অভিযোগ
আন্দোলন প্রসঙ্গে এক আশা কর্মী জানিয়েছেন যে, ‘আমাদের মাসিক সামান্য সাম্মানিক দিয়ে করানো হয় বিভিন্ন কাজ। স্বাস্থ্য দফতরের বিভিন্ন প্রকল্পের কাজের পাশাপাশি আমাদের দিয়ে করানো হচ্ছে ডেটা এন্ট্রি অপারেটারের কাজও। বিনিময়ে মেলে মাত্র ৫,২৫০ টাকা। ইনসেনটিভ হিসাবে প্রাপ্য অর্থ সরকারি টালবাহানায় বকেয়া পড়ে থাকে মাসের পর মাস। এর পরেও নতুন মোবাইল নিয়ে সমস্যা। বারবার বলা হচ্ছে যাঁদের মোবাইল দেওয়া হয়েছে, তাঁরা কেউ প্রয়াত হলে মোবাইল ফেরত দিতে হবে। চুরি হলে তাঁর জন্য টাকা ফেরত দিতে হবে, একের পর এক চাপ বেড়েই চলেছে, আর তাই এই দাবি মেনে নেওয়া খুব মুশকিল হয়ে পড়েছে আমাদের কাছে, আর তার জন্যই এই আন্দোলন।”
আরও পড়ুন: অনুপ্রবেশকারী নিয়ে এবার নাম না করেই মমতাকে তোপ অমিত শাহের
উল্লেখ্য, একাধিক দাবি নিয়ে এদিন হুগলির একাধিক অঞ্চল থেকে আশাকর্মীরা বিক্ষোভ দেখাতে আসেন। মূলত, মোবাইল কেনার জন্য চাপ দেওয়া বন্ধ করা, সিম কার্ড রিচার্জের জন্য অর্থ প্রদান ও সাম্মানিক বৃদ্ধির দাবি নিয়েই শুরু হয় বিক্ষোভ। তাঁদের দাবি যদি শীঘ্রই তাঁদের দাবি না মানা হয় তাহলে জেলা জুড়ে পরিষেবা বন্ধ করে প্রতিবাদ কর্মসূচি শুরু হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আশাকর্মীরা।