ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: সরকারী কর্মীদের কথা মাথায় রেখেই একের পর এক প্রকল্প চালু করেছে রাজ্য সরকার। বিভিন্ন ভাতার সঙ্গে চালু করা সেই প্রকল্পগুলিও বেশ উল্লেখযোগ্য হয়ে উঠেছে সরকারী কর্মীদের কাছে। কিন্তু সম্প্রতি সেই প্রকল্প নিয়ে উঠল এক বড় অভিযোগ। তবে কি ফের কোনও দুর্নীতির বার্তা! কী বলছেন সরকারী কর্মীরা?
চলতি বছর লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যে একের পর এক দুর্নীতির খবর বার বার শিরোনামে উঠে আসছে। তার সঙ্গে রয়েছে আদালতের একের পর এক গুরত্বপূর্ণ নির্দেশিকা। এসবের মাঝেই রাজ্য সরকারের চিন্তার বোঝা যেন বেড়েই চলেছে। সম্প্রতি সরকারী কর্মীদের একাংশ সরকারী প্রকল্প নিয়ে তীব্র অভিযোগ জানাল। তবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিরুদ্ধে নয়, অভিযোগ আনা হয়েছে রাজস্থান সরকারের বিরুদ্ধে।
সম্প্রতি রাজস্থানের বাঁশওয়ারায় ‘এম্পলয়ি অ্যান্ড পেনশনার ওয়েলফেয়ার আ ফার্স’ শীর্ষক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। আর সেখানে উপস্থিত ছিলরাজ্য সরকারি কর্মী এবং পেনশনভোগীরা। প্রসঙ্গ উঠেছিল সরকারের চালু করা সব কল্যাণমূলক স্কিম সম্পর্কিত। কিন্তু সেই প্রসঙ্গেই অভিযোগ জানাতে গিয়ে একেবারে রেগে লাল হয়ে উঠল কর্মীরা।
সরকারী প্রকল্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ
জানা গিয়েছে, সরকারি কর্মীদের জন্য রাজস্থান সরকার স্বাস্থ্য স্কিম চালু করেছিল। সেই কারণে প্রতি মাসে রাজ্য সরকারি কর্মীদের কাছ থেকে বেতন কাটা হচ্ছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও সঠিক মানের মেডিক্যাল পরিষেবা মিলছে না সরকারী কর্মীদের একাংশের। তাতেই ক্ষুব্ধ সকলে। RPMF, RGHS, গ্রুপ অ্যাক্সিডেন্ট ইনস্যুরেন্সের মত নানা সরকারী স্বাস্থ্য প্রকল্পের নামে মাসে মাসে কর্মীদের বেতন থেকে টাকা কাটা হলেও সঠিক সময়ে মিলছে না পরিষেবা।
কল্যান কমিশন গঠনের দাবি
এছাড়াও কর্মীদের একাংশের অভিযোগ, ‘সরকার শুধু নিজের পকেট ভরাচ্ছে। কর্মীদের কল্যাণের দিকে সরকারের কোনও নজর নেই। বিভিন্ন রাজ্য স্কিমের নামে সরকারি কর্মীদের বেতন থেকে টাকা কাটা কাটলেও সেই সব স্কিম ঠিকভাবে কাজ করা শুরু হয়নি। এর ফলে যাদের জন্য এই স্কিম চালু করা হয়েছে, সেই সব সরকারি কর্মী এবং পেনশনভোগীরা লাভবান হচ্ছেন না।’ তাই সরকারি কর্মীরা রাজ্য স্তরে একটি কর্মচারী কল্যাণ কমিশন গঠনের দাবি তোলেন। এর দ্বারা প্রতিটি জেলায় সেই কমিনের একজন করে নোডাল অফিসার থাকলে সমস্ত কল্যানমূলক প্রকল্পগুলির সুবিধা মিলবে কর্মীরা।