ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: আগামীকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার প্রকাশিত হতে চলেছে, লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ এর ফলাফল। গত এপ্রিল এবং মে মাসে যেন রাজনীতির ময়দানে একপ্রকার ঝড় বয়ে গিয়েছে। দফায় দফায় ভোট প্রচার থেকে শুরু করে জনসভা। তবে এর মাঝে সরকারী কর্মীদের ওপর দিয়েও বেশ ধকল গেছে। প্রত্যেকটি বুথ কেন্দ্রে ডিউটি করা থেকে শুরু করে ভোট গণনার নানা কাজে জর্জরিত ছিল। তবে এই লোকসভা নির্বাচনের মাঝেই বিরাট জয় পেল সরকারী কর্মীরা।
সময়টা ছিল ২০০৮, সরকারি কর্মীদের আবাসন দেওয়ার জন্য এক প্রকল্পের আয়োজন করেছিল চণ্ডীগড় প্রশাসন। প্রকল্পটির নাম ছিল স্ব-অর্থায়ন কর্মচারী আবাসন প্রকল্প। ২০১০ সালে এই প্রকল্পে সরকারি কর্মীদের সরকারি কর্মীদের আবাসন দেওয়ার একটি লটারি ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিল প্রায় ৭ হাজার ৯১১ জন সরকারি কর্মী। তার মধ্যে ৩ হাজার ৯৩০ জন সরকারি কর্মী নির্বাচিত হয়েছিলেন ফ্ল্যাট পাওয়ার জন্য। সেই কারণে নির্বাচিত সরকারী কর্মীরা CHB তে প্রায় ৫৭ কোটি টাকা জমা দিয়েছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় জমি হস্তান্তর করতে পারেনি প্রশাসন।
প্রশাসনের যুক্তিতে চিন্তায় রাজ্যের কর্মীরা
যার দরুন হাইকোর্টের কাছে ২০১৩ সালে যান নির্বাচিত সরকারী কর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ ছিল, ২০০৮ সালে যে হারে ফ্ল্যাট দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ওই একই দামে ফ্ল্যাট দিতে হবে। সেই সময় অভিযোগের ভিত্তিতে হাই কোর্টে প্রাথমিকভাবে সরকার যুক্তি দিয়েছিল যে কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যয় বিভাগের ২০১২ সালের চিঠি অনুসারে, কেন্দ্রের আগাম অনুমোদন এবং নির্দিষ্ট অনুমোদন ছাড়া কোনও জমি স্থানীয় কর্তৃপক্ষ, সংস্থা বা কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করা যায় না। কারণ ২০১৯ সালের ২ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় সরকার এই প্রকল্পে ছাড়পত্র দেয়। সেই সময় জমির দাম বেশি হওয়ার কারণে ফ্ল্যাটের দাম অনেক বেড়ে যায়। এছাড়াও জানা গিয়েছে সরকারি কর্মীদের আবাসন দেওয়ার জন্য নির্বাচন করা হয়েছিল তাঁদের মধ্যে ১০০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
হাসি ফুটল কর্মীদের মুখে
তবে সম্প্রতি পাঞ্জাব এবং হরিয়ানা হাই কোর্টের তরফ থেকে সরকারি কর্মীদের পক্ষে একটি বিরাট রায় ঘোষণা করা হয়েছে। প্রায় ১১ বছর পর মিলল স্বস্তি। বিচারপতি ললিত বাত্রা এবং বিচারপতি সুরেশ্বর ঠাকুরের বেঞ্চ জানিয়েছে, চণ্ডীগড় প্রশাসনের যে সকল কর্মচারীরা ২০০৮ সালের স্ব-অর্থায়ন কর্মচারী আবাসন প্রকল্পের জন্য আবেদন করেছিলেন, তাঁরা সেই বছরের ব্রোশিওরে যে হারের উল্লেখ রয়েছে, সেই হারেই ফ্ল্যাট পাবেন। অর্থাৎ ২০০৮ সালে ৩ বিএইচকে ফ্ল্যাটের দাম ছিল ৩৪.৭০ লাখ টাকা এবং ২ বিএইচকে ফ্ল্যাটের দাম ছিল ২৪.৩০ লাখ টাকা ও ১ বিএইচকের মূল্য ছিল ১৩.৫৩ লাখ টাকা। সেই দাম অনুযায়ী কর্মীরা আবাসন পাবে।