ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: হিন্দুশাস্ত্রে বাঙালির ১২ মাসে ১৩ পার্বণ। আর এই ১৩ পার্বণের মধ্যে অন্যতম হল জামাই ষষ্ঠী। মা ষষ্ঠী দেবীর আরাধনার পাশাপাশি এই দিনে জামাইকে আদর আপ্যায়ন করে রেঁধে পঞ্চব্যঞ্জন সাজিয়ে খেতে দেওয়া হয়। সঙ্গে বেশ কিছু বিধি আচারের মধ্যে দিয়ে প্রাচীন কাল থেকেই জামাই ষষ্ঠী পালনের রেওয়াজ রয়েছে বাঙালি সমাজে।
এই বছর জামাইষষ্ঠী পড়েছে ১২ জুন। তাই প্রতিটি বাঙালি বাড়িতে এখন চলছে জোর কদমে জামাই আদরের প্রস্তুতি। চিকেন, মটন, চিংড়ি, কাতলা তো থাকবেই। সঙ্গে অবশ্যই রাখতে হবে ইলিশের আইটেম। তাই দেরি না করে শ্বশুর শ্বাশুড়িরা জামাইকে ইলিশ খাওয়ানোর জন্য ইতিমধ্যেই খোঁজ নিচ্ছে বাজারে অগ্রিম অর্ডার দেওয়ার জন্য। কিন্তু তাতে মাথায় চিন্তা বাড়ল মৎস্যজীবীদের।
সরকারের কড়া নিষেধাজ্ঞা
সূত্রের খবর, এইসময় মাছেদের প্রজনন পদ্ধতি চলে সমুদ্রে। তাই সেই সময় প্রজননের ক্ষেত্রে যাতে কোনো সমস্যা না হয় সেকারণে মাছ ধরার ক্ষেত্রে কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম জারি করেছে সরকার। তাই আগামী ১৪ জুন পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া নিষেধ করেছে। কিন্তু জামাইষষ্ঠী পড়েছে ১২ জুন। সেক্ষেত্রে বাজারে ইলিশ মাছ পাওয়া দুষ্কর হয়ে উঠতে চলেছে।
মাথায় হাত ক্রেতাদের!
অন্যদিকে বিক্রেতাদের একাংশের ধারণা বাজারে যেহেতু ইলিশের জোগান কম কিন্তু চাহিদা অধিক, তাই দামের ক্ষেত্রেও এবার পকেট থেকে বিশাল টাকা খসতে পারে ক্রেতাদের। তবে এইমুহুর্তে যেমন ইলিশ বাজারে পাওয়া যাচ্ছে তেমনই হয়ত সেই সময় মিলবে। বা তার থেকে কিছুটা বেশি ইলিশ আসতে পারে।এদিকে বেশ কিছুদিন আগে তাণ্ডব দেখিয়েছিল ঘূর্ণিঝড় রেমাল। তার প্রভাব কেটে যাওয়ায় আবহাওয়া অনুকূল হয়েছিল উপকূলে। ফলে দেখা মিলেছিল বেশ কয়েকটি ইলিশের।