গায়েব বহু নথি! ফের বড় রায় হাইকোর্টের, ঘুম উড়ল টিচার থেকে শিক্ষা দফতরের

Published on:

calcutta-hc-teacehr

ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: এই মুহূর্তে রাজ্য রাজনীতিতে চলছে লোকসভা নির্বাচনের দামামা। কোন কেন্দ্রে কে রাজত্ব করবে তা নিয়ে চলছে দেদার লড়াই। তবে এর মাঝেই রাজ্য সরকারের ঘাড়ে একের পর এক মামলার ক্ষোভ উগরে দিচ্ছে কলকাতা হাইকোর্ট। এইমুহুর্তে রাজ্যের শিক্ষা দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ‘যোগ্য-অযোগ্য’ শিক্ষকদের বাছাইপর্ব চলছে রাজ্যে। আর এর মাঝেই এবার আরেক নির্দেশ ঘিরে শোরগোল পড়ে গেল রাজ্যের অন্দরমহলে। মহা ফাঁপড়ে পড়ল শিক্ষাকর্মীরা।

সূত্রের খবর, সম্প্রতি জেলা স্কুল পরিদর্শক অর্থাৎ DI একটি নির্দেশিকা জারি করেছে। যেখানে বলা হয়েছে, রাজ্যের সরকারী স্কুলগুলিতে কর্মরত সমস্ত স্কুল শিক্ষককে তাঁদের নিয়োগ সংক্রান্ত নথিপত্র জেলা স্কুল পরিদর্শকের কাছে জমা দিতে হবে। পাশাপাশি সেই সমস্ত নথিগুলির খুঁটিনাটি তথ্য তুলতে হবে স্কুলের পোর্টালে। আর এই নির্দেশিকায় কার্যত ঘুম উড়ল সকলের। শুধু তাই নয় অসন্তোষের কালো অন্ধকার ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ল শিক্ষাকর্মীদের মনে।

WhatsApp Community Join Now

হাইকোর্টের নির্দেশে মাথায় বাজ শিক্ষকদের!

এরই মাঝে শিক্ষকমহলের একাংশের অভিযোগ, ১৯৯৮ সালে স্কুল সার্ভিস কমিশন SSC-র পরীক্ষা পদ্ধতি চালু হওয়ার আগে, নিয়োগের অনেক নথি- তথ্যই অনেক স্কুলগুলিতে পাওয়া যাচ্ছে না। জানা গিয়েছে, আসলে সেই সময় শিক্ষক নিয়োগ মূলত ‘এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ’-এ তালিকাভুক্ত প্রার্থীদের যোগ্যতা এবং স্কুলের পরিচালন সমিতির সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে হয়ে থাকত। এবং পরে সেই প্যানেল জেলা স্কুল পরিদর্শকদের কাছে পাঠানো হত। এরপর পরিদর্শক সেই প্যানেল অনুমোদন করলে পর পর নম্বর অনুযায়ী প্রার্থীদেরকে পাঠানো হত নিয়োগপত্র।

নিয়োগপত্রে অমিল মেমো নম্বর!

কিন্তু সমস্যা সেখানেই। এবার জেলা স্কুল পরিদর্শকদের পাঠানো সেই অনুমোদিত প্যানেল অনেক সরকারী স্কুল খুঁজে পাচ্ছে না। এমনকি পরিদর্শকের চিঠিতে পাওয়া যাচ্ছে না মেমো নম্বরও। ফলে এক্ষেত্রে নথি জমা দেওয়ার বিষয়ে অসঙ্গতি থেকে যাচ্ছে। পাশাপাশি এত বছর আগের পুরোনো নথি খুঁজে পাওয়াও যথেষ্ট সময় সাপেক্ষ।

আরও পড়ুনঃ এই পরিবারগুলি আর পাবেনা ফ্রি রেশন! নিয়মে বড় বদল আনল কেন্দ্র, জারি নয়া বিজ্ঞপ্তি

বাঙুরের নারায়ণ দাস মেমোরিয়াল স্কুলের প্রধান শিক্ষক জানান, ‘আমাদের স্কুলে পরিদর্শকের অনুমোদন করা এমন চিঠি পাওয়া গিয়েছে, যার মেমো নম্বর নেই। সে ক্ষেত্রে আমরা যখন ওই শিক্ষকের নিয়োগের নথি জেলা স্কুল পরিদর্শককে পাঠাচ্ছি বা অনলাইনে আপলোড করছি সেখানে লিখতে হচ্ছে মেমো নম্বর নেই।’ অন্যদিকে কলকাতার একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক জানান, ‘১৯৯৮-এর আগে কোনও লিখিত পরীক্ষা ছিল না। শুধুই প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হত। সে ক্ষেত্রে সাক্ষাৎকারে স্বজনপোষণের সুযোগ ছিল যথেষ্ট।

বাছাই করা গুরুত্বপুর্ন খবর পেতে গ্রুপে যুক্ত হোন