ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: মাছ ছাড়া বাঙালি মানে আঁটি ছাড়া আম। তাইতো বাঙালিকে সব সময় বলা হয়ে থাকে মাছে ভাতে বাঙালি। যেন একই কয়েনের এপিঠ ওপিঠ। আর মাছের রাজা হিসেবে ইলিশ বরাবরই রাজত্ব করে চলেছে বাঙালির মনে। সারা বছর ইলিশ মাছের দাম মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে থাকলেও আজও বর্ষাকাল আসতে না আসতেই বাঙালির মন চায় জলের রূপলী শস্যের দিকে। তবে সম্প্রতি ইলিশ বিক্রি নিয়ে উঠে এল এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
আগামী ১৪ জুন পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ সরকার মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করেছে। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে যে এই সময় মাছেরা প্রজনন পদ্ধতিতে বংশবিস্তার করে। যদি মৎস্যজীবীরা এই সময় মাছ ধরতে যায়, তাহলে তাদের বংশবিস্তারে ব্যাঘাত ঘটবে। যার দরুন এবার জামাইষষ্ঠীর বাজারেও ভাটা দেখতে পাচ্ছে মৎস্যজীবীরা। এদিকে বাংলাদেশে পদ্মার ইলিশ বিক্রি হল ৭ হাজারে!
পদ্মার ইলিশ বিক্রি হল ৭ হাজারে!
গত শুক্রবার রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার পদ্মা নদীতে বিভিন্ন ধরনের দেশি মাছ ধরা পড়ছে। যার মধ্যে পাঙাশ, রুই, চিতল, ইলিশ অন্যতম। জানা গিয়েছে ওইদিন দেবগ্রাম ইউনিয়নের তেনাপচা গ্রামের জেলে ফরিদ শেখ এর জালে ছোট-বড় সাতটি পাঙাশ, আরেক জেলের জালে পাঙাশের পাশাপাশি একটি বড় চিতল ও একটি ইলিশ মাছও ধরা পড়ে। সাতটি পাঙাশের মধ্যে সবচেয়ে ছোটটির ওজন ছিল প্রায় ৭ কেজি এবং বড়টির ওজন ছিল প্রায় ১৬ কেজি। নিলামে সেই জেলে ছোট পাঙাশটি ৮৫০ ও বড়টি প্রতি কেজি ১ হাজার ৫০ টাকা বিক্রি করে।
আরও পড়ুনঃ উত্তরবঙ্গ হবে আরও কাছে! বাংলাদেশের অন্দরে ট্রেন চালাবে ভারতীয় রেল
অন্যদিকে ফেরিঘাট এলাকার পদ্মা নদীতে জাল ফেলেন স্থানীয় ছাত্তার মেম্বার পাড়ার জেলে আরিফ হালদার। তার জালে উঠে আসে একটি বড় চিতল ও একটি বড় ইলিশ মাছ। সঙ্গে সঙ্গেই আরিফ ফেরিঘাট এলাকার মাছ ব্যবসায়ী শাহজাহান শেখ এর সঙ্গে যোগাযোগ করে ১১ কেজি ওজনের চিতল ১ হাজার ৩০০ টাকা কেজি দরে ১৪ হাজার টাকায় ও ১ কেজি ৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশটি ৬ হাজার ৭০০ টাকায় বিক্রি করে দেন।