ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: অসংখ্য ট্রোলিং অসংখ্য মিমের মাঝেও মাথা নত না করে এগিয়ে গিয়েছিলেন তাঁর লক্ষ্যে। কথা হচ্ছে বাংলার রাজনীতিতে সবচেয়ে কম অভিজ্ঞতা সম্পন্ন তৃণমূল তারকা প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনি, দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা মত নির্দিষ্ট দিনে প্রচারের পাশাপাশি জনসাধারণের কাছে ভোটের বার্তা প্রচার করা থেকে শুরু করে জনপ্রিয় রিয়ালিটি শো ‘দিদি নং 1’ এর শুটিংয়ে নিয়মিত যাওয়া সবটাই একা হাতে সামলেছিলেন। আর সেই কষ্টের পরিণতি মিলল গতকাল অর্থাৎ লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের দিন।
অভাবনীয় জয় রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
চলতি বছর লোকসভা নির্বাচনের লড়াই করার জন্য হুগলির মাটিতে তাঁকে জায়গা করে দিয়েছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। সেই লড়াইয়ে বিপক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়। তারপর শুরু হয় দেদার প্রচার। প্রচারের সময় তাঁকে নিয়ে ট্রোলের রমরমা যেন উপচে পড়ছিল। তবে তাঁর এই সমস্ত রসিকতায় মুখ বুজে সবটাই সহ্য করে নিয়েছিলেন রচনা। তবে গতকাল মুখ খুললেন তিনি। মাত্র ২ মাসে ভোটের লড়াইয়ে রাজনীতিতে এসে বহু অভিজ্ঞতাসম্পন্ন লকেটকে এক নিমেষেই হারিয়ে দিলেন তিনি।
ট্রোলারদের প্রসঙ্গে মুখ খুললেন রচনা!
প্রথম থেকেই তিনি যে রাজনীতিতে আসবেন, সেটা একদমই ঠিক করা ছিল না তাঁর। হুগলি থেকে প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব পাওয়ার পর, রচনা বেশ কিছু দিন কনফিউশনে ভুগেছেন। কিন্তু অবশেষে মুখ্যমন্ত্রীর কথায় সায় দিয়ে প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ান। আর লড়াইয়ে নেমেই রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় এর দারুণ ফলাফল ছিল চোখে পড়ার মতো। তিনি সাংবাদিকদের জানান, ‘আমার উচ্ছ্বাস নিজের জেতার জন্য নয়। তৃণমূল কংগ্রেস এত ভালো ফল করেছে বলে আমি অসম্ভব খুশি’। সঙ্গে তিনি সমস্ত ট্রোলারদের উদ্দেশ্যে বললেন, ‘যাঁরা ট্রোল করেছেন, সকলের জন্য রুমাল পাঠাব। যাতে চোখের জল মুছতে পারেন! ওঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ট্রোল করতে ছাড়েন না। আমাকে ট্রোল করবেন, সেটাই স্বাভাবিক। তবে আগেই বলেছি, লোকে ট্রোল করুন বা মিম বানান, তাতে আমার কিছু যায় আসে না। আমি কর্মফলে বিশ্বাস করি। নিজের ১০০ শতাংশ দিয়ে কাজ করেছি শেষ দু’ মাস। বাকিটা কপালের উপর ছেড়ে দিয়েছিলাম। ’
আরও পড়ুনঃ আর ১০০০, ১২০০ নয়! এবার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে বরাদ্দ বৃদ্ধি করবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার, কত টাকা পাবেন?
এছাড়াও তিনি আরও বলেন, ‘আমি জীবনের এই ৬০ দিন চিরকাল মনে রাখব। এত পরিশ্রম জীবনে এর আগে কখনও করতে হয়নি। আমি জিতেছি। মানুষের জন্য কাজ করতে পারব। কিন্তু যদি হারতাম, তা হলেও এটা চোখের সামনে দেখেছি, কী পরিমাণ ভালোবাসেন আমাকে হুগলির মানুষ। সেই ভালোবাসা, উন্মাদনা কখনও মিথ্যে হতে পারে না।’