ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: দেশের সাধারণ মানুষের চাহিদা এবং স্বার্থ অনুযায়ী ভারতীয় রেল একের পর দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ নিয়েই চলেছে। তাইতো দেশের একমাত্র লাইফলাইন হয়ে উঠেছে রেল পরিষেবা। গত কয়েক বছরে ভারতের রেল ব্যবস্থায় গতি এনেছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেন। এইমুহুর্তে কার্যত সমস্ত রাজ্য থেকে ছুটছে এই ট্রেন। সমীক্ষাসূত্রে জানা গিয়েছে বিমানের থেকেও আজকাল বেশি যাত্রীরা এখন বন্দে ভারতের উপর নির্ভর করছে।
বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ভারতীয় রেল এবং ভারতীয়দের কাছে গর্বের ট্রেন হলেও গত তিন বছরে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে এল। বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেন চালু হওয়ার পর থেকেই দাবি করা হচ্ছিল, ঘন্টায় ১৩০ থেকে ১৬০ কিলোমিটার গতিবেগে ট্রেনটি ছুটবে এই সেমি হাইস্পিড ট্রেনটি। কিন্তু পরিকল্পনা মাফিক গতি টানতে অক্ষম হল বন্দে ভারত। গড় গতিবেগ কমে গিয়েছে আট কিলোমিটার। যা অত্যন্ত লজ্জার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে ভারতীয় রেলের কাছে। যেখানে বন্দে ভারত ট্রেনে প্রযুক্তি দিনে দিনে ক্রমশই উন্নত হচ্ছে, সেখানে ট্রেনের গড় গতিবেগ দিন দিন কমে যাওয়ায় হতাশ হয়েছে দেশবাসী।
গতি হারাচ্ছে বন্দে ভারত!
সূত্রের খবর, সম্প্রতি বন্দে ভারতের গতি নিয়ে RTI মামলা করেছিলেন মধ্যপ্রদেশের চন্দ্রশেখর গৌর নামে এক ব্যক্তি। সেটার জবাবে রেল মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে, গত তিন বছরে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের গড় গতিবেগ কমেছে ৮ কিলোমিটার। ২০২০-২১ সালে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের গড় গতিবেগ ছিল ঘন্টায় ৮৪.৪৮ কিলোমিটার। ২০২২-২৩ সালে এই গড় গতিবেগ কমে দাঁড়িয়েছিল ৮১.৩৮ কিলোমিটারে। কিন্তু ২০২৩-২৪ সালে সেই গড় গতিবেগ কমে দাঁড়িয়েছে ৭৬.২৫ কিমিতে।
রেলকর্তাদের একাংশের দাবি!
বন্দে ভারতের এইরূপ গতি কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে রেলকর্তারা দাবি করেছেন যে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রেল সংক্রান্ত ‘বড়সড় উন্নয়নমূলক কাজ’ চলছে। যার দরুণ বন্দে ভারত এক্সপ্রেস-সহ অন্যান্য ট্রেনকেও সেইসব জায়গায় কম গতিতে চালাতে হচ্ছে। আবার ভৌগোলিক দিকও তুলে ধরা হয়েছে। বলা হয়েছে, অনেক জায়গায় ভৌগোলিক বা অত্যন্ত প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে গতির সর্বোচ্চসীমা বেঁধে দেওয়া আছে। তাই বেশি গতিতে ট্রেন চালানো কার্যত মুশকিল হয়ে গিয়েছে।