ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: বৈশাখের ভ্রুকুটি এবার জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহেই দেখা দিল। এমন পরিস্থিতি মে মাসেও ছিল না। এপ্রিলের সেই চেনা তাপপ্রবাহের অসহ্য গরম সহ্য করার পর মাঝে ঘূর্ণাবর্ত এবং কালবৈশাখীর জেরে সাধারণ মানুষ বেশ স্বস্তি পেয়েছিল। কিন্তু মে মাস কাটতে না কাটতেই আরও একবার নয়া রূপে আগমন ঘটল গরমের। যা এপ্রিলের সেই তীব্র তাপপ্রবাহের দহন জ্বালার থেকেও ভয়ঙ্কর কষ্টকর।
কেরলে বর্ষা
গত ৩১ মে কেরলে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ু প্রবেশের মাধ্যমে বর্ষার আগমনের আভাস দিয়েছিল দিল্লির মৌসম ভবন। কিন্তু সেই নির্ধারিত দিনের আগেই চলে এসেছে বর্ষা। তাই ইতিমধ্যে কেরলে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। প্রথম দিকে হাওয়া অফিস আশঙ্কা করেছিল যে মৌসুমি বায়ু একটু একটু করে উত্তর-পূর্বের দিকে অগ্রসর হবে। এবং জুন মাছের প্রথম অথবা দ্বিতীয় সপ্তাহে বঙ্গে প্রবেশ করবে। কিন্তু সেগুড়ে বালি। কারণ এখনও দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ু ইসলামপুরেই আটকে আছে। যার দরুণ এখনও ঢের দেরি বঙ্গে বর্ষার আগমনে।
দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া
অন্যদিকে দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমের জেলায় গরম ও অস্বস্তি আরও চরমে ওঠার আভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। বলা হয়েছে আগামী দু’দিনে আরও ৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা বাড়তে পারে। সঙ্গে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি থাকায় অস্বস্তি বোধ বেশি হবে। তবে বিকেলের দিকে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায়।
উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির দাপট
ইতিমধ্যে উত্তরবঙ্গের একাংশে বর্ষা প্রবেশ করে গিয়েছে। তবে এবার শুধু বর্ষা নয়, খেল দেখাবে উত্তর-পূর্ব অসম এবং সংলগ্ন এলাকার উপরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্ত। তার ফলে আগামী সাতদিনে পশ্চিমবঙ্গের হিমালয়ের পাদদেশীয় অঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে। পাশাপাশি আজ উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারের ভারী বৃষ্টি বৃষ্টি হতে পারে। সঙ্গে বইবে ঝোড়ো হাওয়া। ঝড়ের বেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ৩০-৪০ কিলোমিটার।