ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ যেন লেগেই আছে। বৈশাখের নববর্ষের রেওয়াজ কাটতে না কাটতেই আরও একবার খুশির উৎসব। এদিন আদরের জামাইকে আপ্যায়ন করে থাকা ভর্তি খাবার সাজিয়ে ভূরিভোজ করান শাশুড়ি মায়েরা। কিন্তু একদিকে জামাই আদর হবে আর অন্যদিকে পাতে ইলিশ পড়বে না, তা কি কখনও হয়? কিন্তু গত কয়েকদিন বাজারে মাছের ব্যাগ নিয়ে ঘোরাঘুরি করেও ইলিশের দেখা মিলছে না। আর যদিও বা যে ৪-৫ টা ইলিশ মিলছে, তাতেও মাথায় বাজ পড়ার মত দাম হাঁকাচ্ছে বিক্রেতারা। যার জেরে মুখ গোমড়া বাঙালির। তবে এবার সুখবর আসতে চলেছে।
ব্যান পিরিয়ড কাটিয়ে নতুন ছন্দে সকলে
বৃষ্টির একটু খানিক দেখা পেতে না পেতেই মাছ প্রিয় বাঙালির মন কেমন যেন ইলিশ ইলিশ করে উঠেছে। কিন্তু মন চাইলেও স্বাদ আর পূরণ হচ্ছে কই। এই মুহূর্তে বাজারে ইলিশের জোগান খুব কম। তবে চিন্তা নেই। আগামী ১৪ জুন থেকে ইলিশ মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা ওঠাতে চলেছে রাজ্য সরকার। তাই জোর কদমে মাছ ধরার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে মৎস্যজীবীরা আর অপেক্ষায় রয়েছে ‘নিষিদ্ধ সময়সীমা’শেষের । দিঘা, শংকরপুর, মন্দারমণি, তাজপুর সহ উপকূলবর্তী এলাকায় মৎস্যজীবীদের মাছ ধরার প্রস্তুতি চলছে মহাসমারোহে। এ যেন উৎসব। সব কিছু পরিকল্পনা মাফিক ঠিকঠাক চললে আগামী সপ্তাহেই বাজারে ঢুকবে ইলিশ। সঙ্গে আবার থাকবে পমফ্রেটও।
মুখে চওড়া হাসি বাঙালির
গত বছর জুলাই মাসের প্রথম দিকেই ইলিশের দাম কমেছিল। তখন নতুন ইলিশ বাজারে আসা মাত্রই দাম একদম কমে গিয়েছিল। এক কেজি বা ১২০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের দাম সেই সময় ছিল ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা। অন্যদিকে ছোটো ইলিশের দাম ছিল ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি। এবারও দাম তেমনই হবে বলে আশা করছে সকলে। অন্যদিকে পমফ্রেট মাছের দামও কমেছিল গত বছর। ২০২৩ সালে সমুদ্র থেকে ফ্রেশ পমফ্রেট আসার পর ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল।
আরও পড়ুনঃ শপথ গ্রহণের পরেই মোদির ‘অগ্নিপরীক্ষা’! দীপাবলীর আগে ঘটতে চলেছে ধুন্ধুমার কাণ্ড
প্রসঙ্গত, ১৫ এপ্রিল থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত টানা ৬১ দিন সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ার ক্ষেত্রে মৎস্যজীবীদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা রয়েছে। সেই কারণে এই দু’মাস সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে না পারায় জটিল সমস্যার মুখোমুখি হয়েছিল মৎস্যজীবীরা। তাই মৎস্যজীবীদের সুবিধার জন্য নতুন এই প্রকল্প ঘোষণা করে রাজ্য সরকার। প্রকল্পের নাম দেয় সমুদ্র সাথী ২০২৪।