ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: আগামীকাল অর্থাৎ রবিবার তৃতীয়বারের জন্য দেশের প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদী। তাই গোটা দিল্লি এখন ত্রিস্তরীয় সুরক্ষার কবলে মোড়া। চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। ২০১৪ এবং ২০১৯-এর পর আবার প্রধানমন্ত্রীর আসনে মোদি। কিন্তু এ বার আর সংসদের নিম্নকক্ষে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দল বিজেপি। তবে জোট হিসাবে গরিষ্ঠতা রয়েছে NDA-র। বিজেপি একক ভাবে জিতেছে ২৪০টি আসন। এবং বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট NDA পেয়েছে ২৯২টি আসন। তাই সরকার গড়তে হলে শরিকদের ওপর ভরসা করতে হয়েছে গেরুয়া শিবিরকে।
বিজেপিকে সরকার গঠনে সাহায্য NDA এর!
কিন্তু এই শরিক দলগুলির মধ্যে আবার এমনও দু’টি দল রয়েছে যাদের ছাড়া মোদি সরকারের তৃতীয়বার সরকার গঠন একপ্রকার অসম্ভব হয়ে উঠত। আর সেই দুই দল হল TDP এবং JDU। শুধু তাই নয়, এই দুই দলের ‘বিশ্বাসযোগ্যতা’ নিয়ে প্রশ্নও তুলেছিল ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ। কারণ এর আগে রাজনীতিতে TDP এবং JDU এরই দলবদলের মত নানা ঘটনা জনসমক্ষে এসেছিল। তবে সবশেষে বিজেপিকে আশ্বাস দিয়ে অবশেষে একসঙ্গে থাকার প্রতিশ্রুতি দেয় এই দুই দল। কিন্তু এর মাঝেই মোদি সরকারের তরফ থেকে উঠে এল এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
জানা গিয়েছে, তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর, ৫-৬ মাসের মাথায় ‘অগ্নিপরীক্ষা’য় বসতে হবে নরেন্দ্র মোদিকে। আর সেই অগ্নিপরীক্ষায় যদি তিনি সফল হয়, তাহলে ৫ বছর বিনা বাঁধায় জোটবদ্ধভাবে এগিয়ে যেতে পারবে NDA সরকার। কিন্তু যদি পরীক্ষায় অসফল হয় তাহলে বড় বিপদ ঘনিয়ে আসতে চলেছে গেরুয়া শিবিরে। নিশ্চয়ই ভাবছেন কী সেই অগ্নিপরীক্ষা?
মোদির অগ্নিপরীক্ষা
আসলে চলতি বছর ৩১ অক্টোবর দীপাবলি। আর তার আগেই এদেশের তিন রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন সংঘটিত হতে চলেছে। সেই তিন রাজ্য হল মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা এবং ঝাড়খণ্ড। আর এই রাজ্যতেই লোকসভা নির্বাচনে সবচেয়ে খারাপ ফল করেছে বিজেপি। মহারাষ্ট্রে ৪৮টি আসনের মধ্যে মাত্র ৯টি আসন পেয়েছে গেরুয়া শিবির। হরিয়ানায় আসন সংখ্যা ছিল অর্ধেক এবং ঝাড়খণ্ডেও অনেক আসন কমেছে। তাই এই তিন রাজ্যকে সবার উপরে রাখতে চায় গেরুয়া শিবির। কারণ যদি এই তিন রাজ্যে ভালো ফলাফল করতে পারে বিজেপি, তাহলে সেটা গেরুয়া শিবিরের নৈতিক জয় হবে নইলে বিরোধী জোট INDIA আরও হিংস্র হয়ে উঠবে।