দেশের ৫৩ তম CJI হিসাবে নিযুক্ত হলেন বিচারপতি সূর্য কান্ত! শপথ বাক্য পড়ালেন রাষ্ট্রপতি মুর্মু

Chief Justice Surya Kant

সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি পদে শপথ নিলেন বিচারপতি সূর্য কান্ত (Chief Justice Surya Kant)। সিজিআই বিআই বিআর গবই অবসর নেওয়ার পর ৫৩ তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিলেন তিনি। দিল্লিতে উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকলেন দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং তিনি শপথ বাক্য পাঠ করালেন।

বলাবাহুল্য, সিজেআই বিআর গবই ৬৫ বছর বয়সে অবসর গ্রহণ করেছেন গতকাল অর্থাৎ রবিবার। আর তাঁর উত্তরসূরী হিসেবেই বিচারপতি সূর্য কান্তকে সুপারিশ করা হয়েছিল, যা পরে সংবিধানের ১২৪(২) অনুচ্ছেদের আওতায় রাষ্ট্রপতি দ্বারা অনুমোদিত হয়। দায়িত্ব গ্রহণের আগেই বিচারপতি সূর্যকান্ত সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে গিয়ে বলেন, বিশেষ করে জেলা আদালতে মামলার বিচারাধীনতা কমানো তাঁর প্রধান লক্ষ্য হবে। বর্তমানে ভারতের আদালতগুলিতে ৫.৩৯ কোটি মামলা জমে রয়েছে, যার মধ্যে ৮৬,৭৪২টি সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন।

তিনি বলেছেন, বিচারপতি আদালতের কাজে সৃষ্টিকারী বাধাগুলিকে চিহ্নিত করবে এবং দেশব্যাপী দক্ষতা উন্নত করতে উচ্চ আদালতের সঙ্গে পরামর্শ করবে। এমনকি দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা পাঁচ, সাত এবং নয়জন বিচারকের সাংবিধানিক বেঞ্চ কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আবারও পুনরুজ্জীবিত হবে, যাতে রায়ের অপেক্ষায় থাকা গুরুত্বপূর্ণ মামলাগুলোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

কে বিচারপতি সূর্য কান্ত?

বলে রাখি, ১৯৬২ সালে হরিয়ানার মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন বিচারপতি সূর্য কান্ত। ১৯৮৪ সালেই তাঁর আইনজীবী হিসেবে কর্মজীবন শুরু হয়। পাঞ্জাব এবং হরিয়ানা হাইকোর্টে প্র্যাকটিসের জন্য তিনি চন্ডিগড়ে গিয়েছিলেন। আর ২০০২ সালে হরিয়ানার কনিষ্ঠতম অ্যাডভোকেট জেনারেল হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন বিচারপতি সূর্য কান্ত। এদিকে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবেও তাঁকে নিযুক্ত করা হয়েছিল ২০০৪ সালের ৯ জানুয়ারি।

আরও পড়ুনঃ পাকিস্তানের আধা সামরিক বাহিনীর সদর দপ্তরে সন্ত্রাসী হামলা, নিহত ৩ জন

এরপর ২০১৮ সালের অক্টোবর মাস থেকে ২০১৯ সালের মে মাস পর্যন্ত হিমাচলপ্রদেশ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব সামলেছেন বিচারপতি সূর্য কান্ত। উক্ত বছর ২৪ মে তিনি চলে আসেন সুপ্রিম কোর্টে। ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে দেশের শীর্ষ আদালতের লিগ্যাল সার্ভিস কমিটির চেয়ারপারসন পদে নিযুক্ত হন তিনি। সেখান থেকেই বিচারপতি গবই-র পর যোগ্য উত্তরসূরী হিসেবে তাঁর নামে উঠে আসছে।

Leave a Comment