টিকিট বিক্রির ২ কোটি টাকা জমা না দিয়ে ব্যবসায় বিনিয়োগ! গ্রেফতার রেলকর্মীর স্ত্রী

Rail Ticket Scam

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: অবাক কাণ্ড! রেলের টিকিট বিক্রির কোটি টাকা নয়ছয় (Rail Ticket Scam) করল এক রেলকর্মী। অভিযোগ টিকিট বিক্রির প্রায় ২ কোটি টাকা জমা না দিয়ে স্ত্রীর ব্যবসায় লাগিয়েছিল ওই অভিযুক্ত কর্মী। এবার সেই ঘটনায় গ্রেফতার করা হল রেলকর্মীর স্ত্রীকে।

ঠিক কী ঘটেছে?

রিপোর্ট মোতাবেক, রেলের টিকিট বিক্রির বিপুল পরিমান টাকা নয়ছয়ের অভিযোগে অনিশ সরকার নামের এক রেলকর্মীর স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করল এনজেপি থানার পুলিশ। অনিশ সরকার এনজেপি স্টেশনে কমার্শিয়াল সুপারভাইজার পদে কর্মরত, তাঁর স্ত্রী জয়শ্রী সরকার ভক্তিনগর সেন্ট্রাল কলোনীর বাসিন্দা। টিকিট বিক্রির টাকা ব্যাঙ্কে জমা করার দায়িত্ব ছিল অনিশ সরকারের উপর। কিন্তু তদন্তে জানা যায়, গত বছর ৩ জানুয়ারির টিকিট বিক্রির ১৪ লক্ষ ৭৯ হাজার টাকারও বেশি ব্যাঙ্কে জমা দেওয়া হয়নি। এই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই এনজেপির চিফ কমার্শিয়াল ইন্সপেক্টর ২০ ফেব্রুয়ারি থানায় লিখিত অভিযোগ জানান। তারপরেই শুরু হয় তদন্ত। এরপর পুলিশ জানতে পারে যে টিকিট বিক্রির প্রায় ২ কোটি টাকা টাকা নয়ছয় করে অনিশ এবং সেই টাকা তিনি স্ত্রীর বিভিন্ন ব্যবসাতে খাটাতেন।

রেলকর্মীর স্ত্রীকে গ্রেফতার করল পুলিশ

রেলের টিকিটের টাকা নয় ছয় করার অভিযোগ থানায় দায়ের হওয়ার পরই অভিযুক্ত রেলকর্মী অনিশ সরকার গা ঢাকা দেয়। এরপরেই তিনি জলপাইগুড়ির কলকাতা হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চ থেকে আগাম জামিন নিয়ে নেন। অভিযুক্তের একটি বিলাসবহুল চারচাকার গাড়ি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। আর এবার রেলের টিকিট বিক্রির কোটি টাকার নয়ছয়ের ঘটনায় রেলকর্মীর স্ত্রীকে গ্রেফতার করল এনজেপি থানার পুলিশ। জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ রবিবার দুপুরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জয়শ্রীকে থানায় ডেকে পাঠানো হয়। কিন্তু জিজ্ঞাসাবাদের দরুন তার জবাবে সন্তুষ্ট না হওয়ায়, পুলিশ ওই মহিলাকে গ্রেপ্তার করে জলপাইগুড়ি আদালতে পাঠায়। সেখানে আদালতের তরফে মহিলাকে একদিনের জেল হেফাজতে পাঠানো হয়। আজ মহিলাকে আবারও আদালতে তোলা হবে।

আরও পড়ুন: ডিসেম্বরেই বাংলায় জনসভা মোদীর, বেরোবে পাঁচটি রথও! কোথা থেকে? জানুন

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত জয়শ্রী সরকার বাবুপাড়ার একটি বেসরকারি ইংরেজি প্রাইমারি স্কুলে শিক্ষকতা করতেন। কিন্তু তাঁর বিলাসবহুল জীবনযাত্রার সঙ্গে জয়শ্রীর আয়ের সঙ্গে কোনো মিল ছিল না। কারণ আয়কর নথি খতিয়ে দেখে জানা গিয়েছিল, জয়শ্রী দেবীর বার্ষিক আয় দেখানো হয়েছে মাত্র সাড়ে তিন লক্ষ টাকা, অথচ সম্পত্তির পরিমাণ তার বহু গুণ বেশি। তাই এই জিজ্ঞাসাবাদ। এছাড়াও জানা যায় অনিশ শ্রমিক নেতা হিসেবেও এলাকায় পরিচিত ছিল। তবে স্ত্রীর গ্রেপ্তারের পর তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি যোগাযোগ করেননি। হোয়াটসঅ্যাপে কল করলেও কোনও উত্তর মেলেনি।

Leave a Comment