পাল্টা দেবে ভারত, ক্ষমতায় এসেই চিন শাসিত তিব্বত নিয়ে বড় অ্যাকশন নিচ্ছেন মোদী! তৈরি তালিকা

Published on:

india-china

ইন্ডিয়া হুড ডেস্কঃ চিনকে নিয়ে সমস্যার শেষ নেই। বর্তমানে ভারতের সবচেয়ে বড় মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ড্রাগনরা। বিগত বেশ কিছু সময়ে অরুণাচল প্রদেশের নানান স্থানের নাম বদলে দিয়েছে চিনের সরকার। ভারতের তরফে নাম বদলানোকে যুক্তিহীন বলে দাবি করা হয়। বিষয়টি সম্পর্কে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, “নাম বদলালেই তো আর কোনও জায়গা অন্য কোনও দেশের দখলে চলে যায় না।” কিন্তু এবার নরেন্দ্র মোদির তৃতীয় টার্মে বড় কিছুর প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত সরকার।

চিনের তিব্বতের স্থান পরিবর্তনের কথা ভাবছে মোদি সরকার। তিব্বতের দুই ডজনের বেশী স্থানের নাম বদলাতে চলেছে নয়াদিল্লি। উল্লেখ্য, চিন এই অংশকে বলে ‘জাংনান’ বা ‘দক্ষিণ তিব্বত’। এই পুরো। বিষয়টি সম্পর্কে খবর করেছে ‘The Diplomat’ নিউজ চ্যানেল। দক্ষিণ তিব্বতের বেশ কিছু স্থানের নাম পরিবর্তন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত। নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পরই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হতে পারে।

WhatsApp Community Join Now

উল্লেখ্য, এই নাম পরিবর্তন সম্বন্ধিত বিষয়টির দেখভাল করছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ‘তথ্য যুদ্ধ বিভাগ’। চিন যে সমস্ত স্থানগুলো অবৈধ বলে প্রমাণ করার চেষ্টা চালাচ্ছে সেখানে ঐতিহাসিক তথ্য যোগাচ্ছে তথ্য যুদ্ধ বিভাগ। এক্ষেত্রে সেনাবাহিনী সাহায্য নিচ্ছে কলকাতার এশিয়াটিক সোসাইটির মতো প্রতিষ্ঠানের। প্রসঙ্গত, তিব্বতের ৩০টি বা তারও বেশি জায়গার একটি তালিকা তৈরি করেছে সেনাবাহিনী।

৩০টি স্থানের না পরিবর্তন করবে ভারত

প্রাথমিকভাবে এই ৩০টি স্থানের নাম পরিবর্তন করা হবে বলে ঠিক করা হয়েছে। এমনকি ঘেঁটে বের করা হয়েছে প্রাচীনকালে ভারতীয় ভাষাতে সেই স্থানের কি নাম ছিল। ঘেঁটে বের করা হয়েছে ঐতিহাসিক নথিপত্র। শীঘ্রই এগুলো সংবাদমাধ্যমের কাছে প্রকাশ করা হবে এবং আন্তর্জাতিক স্তরেও সেগুলোর প্রচার ও প্রসার চালানো হবে। এই স্থানগুলোকে পুনরুদ্ধার করে স্বীকৃতি দেওয়া ভারতীয় বাহিনীর লক্ষ্য। বেজিংয়ের নাম পরিবর্তনের পাল্টা এই কাজ করতে চলেছে ভারত।

আরও পড়ুনঃ বিরাট চাপ, বেতন-ভাতা নিয়ে বড় রায় হাইকোর্টের! কপাল পুড়ল লক্ষ লক্ষ কর্মীর

কূটনীতি তো বটেই সাথে ভারত এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করলে তিব্বত নিয়েও আলোচনা শুরু হয়ে যাবে। চিনা সরকার জোর করে তিব্বত দখল করার পর একপ্রকার চাপ দিয়েই ভারতকে তা মেনে নিতে বাধ্য করে। একদিকে নয়াদিল্লি তিব্বতকে চিনের অংশ বলে ধরে নেয়, কিন্তু সাথে সাথেই আশ্রয় দেয় দলাই লামাকে। এবার চিনের আগ্রাসী পদক্ষেপের মোকাবিলায় আরো আগ্রাসী হয়ে উঠবে ভারত। এর ফলে আগামী সময়ে সীমান্তে ভারত-চিন বিরোধ আরো বাড়তে চলেছে।

বাছাই করা গুরুত্বপুর্ন খবর পেতে গ্রুপে যুক্ত হোন