ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি থেকে শুরু করে রাজ্যের একাধিক দুর্নীতিপূর্ণ মামলায় নানা ঐতিহাসিক রায় দিয়ে আসছে কলকাতা হাইকোর্ট। বেশ কিছু দিন আগে OBC শংসাপত্র বাতিল নিয়েও এক ঐতিহাসিক রায় প্রদান করেছিল হাইকোর্ট। যার দরুণ একধাক্কায় বাতিল হয়ে গেছে প্রায় ৫ লক্ষ OBC শংসাপত্র। এবার সম্প্রতি এক অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মীর পেনশন এবং গ্র্যাচুয়িটি নিয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ রায় দিল হাইকোর্ট।
সূত্রের খবর, কুণালচন্দ্র সেন নামে রাজ্যের এক অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক হাইকোর্টে এক মামলা করেন। সেই মামলার প্রেক্ষিতে জানা যায়, ২০০৪ সালে চন্দননগর বঙ্গ বিদ্যালয়ে অস্থায়ী হেড মাস্টার হিসেবে যোগ দেন কুণালচন্দ্রবাবু। আর ঠিক তার পরের বছরেই পার্মানেন্ট হেড মাস্টার হন তিনি। কিন্তু প্রায় এক দশক ধরে ওই বিদ্যালয়ে চাকরি করার পর ২০১৫ সালে তিনি অবসর নেন। আর ঠিক ওই বছরই তিনি পেনশন ও গ্র্যাচুয়িটির দাবি জানিয়ে কাগজপত্র জমা করেন। কিন্তু এক বিধায়কের অভিযোগে সেই টাকা আটকে দেওয়া হয়।
বিধায়কের নামে গুরুতর অভিযোগ
জানা যায় ওই বিধায়ক কুণালচন্দ্র সেন এর নামে অভিযোগ করেছিলেন, কুণালচন্দ্রবাবু বিদ্যালয়ের টাকা নয়ছয় করেছেন। এই কারণেই তাঁর পেনশন এবং গ্র্যাচুয়িটির টাকাও আটকে যায়। কিন্তু পরে জানা যায় ওই অভিযোগের কোনো সত্যতা প্রমাণিত হয়নি। পরে সেই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মামলা করায় প্রোভিশনাল পেনশন চালু করা হয়। এবার সেই মামলার ভিত্তিতে হাইকোর্ট এক গুরুতর রায় দেয়।
আরও পড়ুনঃ আর নেই চিন্তা, রেশন কার্ড নিয়ে বিরাট ঘোষণা! জনগণের সবথেকে বড় সমস্যা দূর করল কেন্দ্র
এদিনের রায় হাইকোর্ট বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায় জানায় কোনও কর্মীর চাকরি থেকে অবসরের পরে তাঁর পেনশন, গ্র্যাচুয়িটি-সহ কোনও প্রাপ্য এই অভিযোগের ভিত্তিতে আটকে রাখা যায় না। এর আগে হাই কোর্টের তরফ থেকে ট্রেজারিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল যে রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে ২৮ লাখ ৬৭ হাজার টাকা জমা রাখতে হবে। এবং এই টাকা হবে কুণালচন্দ্রবাবুর প্রাপ্য টাকা। কিন্তু এবার উচ্চ আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, মামলাকারী যে বছর অবসর নিয়েছেন তথা ২০১৫ সাল থেকে ৮% হারে এই টাকা তাঁকে ফেরত দিতে হবে।