ঋত্বিক পাত্রঃ ব্যাঙ্ক থেকে লোন নেওয়ার পর সেই লোন মেটাতে না পারলে ব্যাঙ্ক লুক আউট সার্কুলার জারি করতে পারে। কিন্তু সম্প্রতি দিল্লি হাইকোর্ট এর উল্টো দিকেই রায় দিয়েছে। দিল্লি হাইকোর্ট জানিয়ে দিয়েছে যে, প্রতারণা অথবা টাকা অন্য জায়গায় স্থানান্তর করার মতো অভিযোগ না থাকলে লুক আউট সার্কুলার জারি করা যাবেনা। এক কোম্পানির প্রাক্তন ডিরেক্টরের বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিশ জারি করে ব্যাঙ্ক, তখনই মামলা কোর্টে গেলে এমন রায় আসে।
আসলে হয়েছে কি, প্রাক্তন ডিরেক্টরের বিরুদ্ধে লুক আউট কর্ণার (LOC) জারি করা হয়। তিনি বিদেশ যেতে চাইলে সেখানে তার সমস্যা হয়। ব্যাঙ্ক থেকে লোন নেওয়ার সময় তিনি ছিলেন লোনের গ্যারান্টার। লোন সঠিক সময়ে শোধ না হওয়ার কারণে তার বিরুদ্ধেও LOC জারি করা হয়। এরপর গত ২৮মে দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি সুহ্মমণিয়ম প্রসাদ এক রায়ে উল্লেখ করেন অনেক পথ খোলা রয়েছে, এক্ষেত্রে চাইলেই লুকআউট কর্নার জারি করতে পারে না কোনও ব্যাঙ্ক।
দিল্লি হাইকোর্টের রায়ে ব্যাঙ্কের ওপরই খড়্গহস্ত হন বিচারপতি। নিজের রায়ে তিনি উল্লেখ করেন যে, কোনও ব্যক্তি লোন নেওয়া টাকা শোধ করতে দেরি হতে পারে। কিন্তু তিনি যদি প্রতারণা না করে অথবা টাকা অন্য কোনও স্থানে না পাঠান তাহলে লুক আউট কর্নার জারি করা যায় না। এছাড়া তার বিরুদ্ধে আগে কোনও অপরাধমূলক অভিযোগ নেই, ব্যাঙ্ক অবশ্য ওই কোম্পানি এবং ব্যক্তির বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ দায়ের করেছে।
আরও পড়ুনঃ শুধু ঋতুপর্ণাই নয়, রেশন দুর্নীতিতে ED-র হাতে আরও ৫০ নাম! কারা তাঁরা? শোরগোল বঙ্গে
উল্লেখ্য, ওই ব্যক্তি আগে কোম্পানির অন্যতম ডিরেক্টর পদ সামলান। তখনই ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া থেকে ৬৯ কোটি টাকা ধার হিসেবে নেওয়া হয় যার গ্যারান্টার ছিলেন ওই ব্যক্তি। পরে তিনি সেখান থেকে পদত্যাগ করে যোগ দেন অন্য এক কোম্পানিতে। এদিকে ধার সঠিক সময়ে শোধ না হওয়াতে তার বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ নেওয়া হয়। কিন্তু আদালতে মামলা গেলে বলা হয়, এভাবে কারও ভ্রমণের অধিকার কেড়ে নেওয়া যায়না।