ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণার পড়েই রাজ্যের অর্থ বাজেট পেশের সময় অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ঘোষণা করেছিলেন যে রাজ্যের সরকারী কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা বা DA ৪ শতাংশ বাড়ানো হবে। অর্থাৎ আগে সরকারী কর্মীরা ১০ শতাংশ DA পেত, বর্তমানে তাঁরা পাবে ১৪ শতাংশ DA। এবং বাজেটের মাধ্যমে মে মাস থেকে এই নিয়ম কার্যকরী হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়।
কিন্তু ভোটের প্রচারে মেদিনীপুরের এগরায় এক জনসভায় DA বৃদ্ধি সম্পর্কে এক নয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা শাসক দলের জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছিলেন ‘সরকারি কর্মীদের ১ মে থেকে বর্ধিত হারে DA দেওয়া হবে। টাকা পাবেন ১ জুন। আমি আলোচনা করে ঠিক করলাম, ১ মে থেকে নয়, ১ এপ্রিল থেকে টাকাটা দেব। ১ মে যখন বেতনের টাকাটা হাতে পাবেন, তখন সঙ্গে সেই বর্ধিত ভাতাও পাবেন।’ সেই প্রতিশ্রুতি এ বার পূরণ করলেন মমতা। তবে এই আবহে সরকারী কর্মীদের কপাল আরও ডবল ভাবে খুলে গেল। কারণ সম্প্রতি রাজ্য সরকার আরও ১০ শতাংশ DA বৃদ্ধির ঘোষণা করল।
আরও DA বৃদ্ধির ঘোষণা রাজ্য সরকার!
গতকাল অর্থাৎ ১৩ জুন পশ্চিমবঙ্গের স্কুল শিক্ষা দফতরের প্ল্যানিং ও বাজেট শাখার তরফ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। তাতে জানানো হয়েছে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল এবং সংস্কৃত টোলের শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মীদের DA একলাফে ১০ শতাংশ হারে বৃদ্ধি করা হচ্ছে। অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গের অ্যাঙ্গলো ইন্ডিয়ান স্কুল প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল এবং সংস্কৃত টোলের শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মীদের DA ১০ শতাংশ হারে বৃদ্ধি করা হচ্ছে। আর এই নিয়ম কার্যকর করা হবে ১ জানুয়ারি থেকে।
এই বিজ্ঞপ্তির জেরে সাধারণ জনগণের মনে প্রশ্ন জাগছে কেন কয়েকজন নির্দিষ্ট বিভাগের শিক্ষকদের DA বৃদ্ধি পাচ্ছে। আসলে বলে রাখা ভালো প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল এবং সংস্কৃত টোলের শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মীদের DA পঞ্চম বেতন কমিশনের মাধ্যমে দেওয়া হয়ে থাকে। কিন্তু সরকারি শিক্ষকরা ষষ্ঠ বেতন কমিশনের আওতায় থাকায় তাঁদের এইমুহুর্তে DA বৃদ্ধির সুবিধা থাকছে না।
আরও পড়ুনঃ ‘খবর আছে, সতর্ক থাকুন…!’ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ED-কে যা বলল হাইকোর্ট, শোরগোল তুঙ্গে
প্রসঙ্গত, আগে এই শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মীদের DA ১৪১ শতাংশ ছিল। কিন্তু বর্তমানে ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে তা বাড়িয়ে ১৫১ শতাংশ করা হচ্ছে। অর্থাৎ, জানুয়ারি থেকে বর্ধিত হারে DA-র বকেয়াও দেওয়া হবে।