ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: অসুস্থতা সহ একাধিক সমস্যা নিয়ে নিম্ন আদালতে বারবার জামিনের আবেদন জানালেও একটাও যুক্তি খাটেনি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এর। অগত্যা টানা ২ বছরেরও বেশি সময় ধরেই গারদেই কাটিয়ে ফেলেছেন তিনি। ২০২২ সালে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সঙ্গে জেলবন্দি হয়েছিলেন তাঁরই ঘনিষ্ট বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। আর তারপর থেকেই জামিনের জন্য একাধিকবার হাইকোর্টে মামলা করলেও কিছুই হয়ে ওঠেনি।
সাম্প্রতিক তদন্তে ED এক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে এনেছিল। সেখানে জানা গিয়েছে পার্থের আরও অন্তত ৫টি সম্পত্তি রয়েছে সেই বোলপুরেই। আর ওই ৫টি সম্পত্তিই মূলত জমি। যার মূল্য কয়েক কোটি টাকা থেকে শুরু। তবে এই সম্পত্তিও পার্থের নিজের নামে নয়। জানা গিয়েছে এই পাঁচটি সম্পত্তির নথিতে নাম রয়েছে পার্থ-ঘনিষ্ঠের। ঠিক যেমন পার্থ-ঘনিষ্ঠ অর্পিতার নামে সম্পত্তি ছিল। এর আগে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার চার্জশিটে একাধিক সম্পত্তির উল্লেখ করেছে ED। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক ED র হাতে উদ্ধার হওয়া পার্থের সম্পত্তির মোট পরিমাণ।
পার্থর কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির খোঁজ!
সূত্রের খবর, কলকাতার পাটুলিতে মোট ১৮ কাঠার ৩টি জমি, হাওড়ার বাগনানে ২ বিঘা জমি এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর ও বীরভূমের বোলপুরে বেনামি জমি বাজেয়াপ্ত করা হল। এছাড়াও একটি সংস্থার নামে রাখা ২ কোটি টাকাও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। অন্যদিকে ‘বান্ধবী’ অর্পিতার নামে একাধিক ফ্ল্যাট এবং বাড়ির খোঁজ পেয়েছিল ED। অর্পিতারই বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল নগদ ৪৯.৮০ কোটি টাকা। পাশাপাশি, ৪ কোটির সোনা, কিছু জীবন বিমাও। শুধু তাই নয়, অর্পিতার ডায়মন্ড সিটির ফ্ল্যাট থেকে ২২ কোটির বেশি এবং বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে ২৭কোটির বেশি টাকা উদ্ধার হয়। এ ছাড়া ওই দুই ফ্ল্যাট থেকে বিদেশি মুদ্রা এবং সোনাও উদ্ধার করে ED।
আরও পড়ুনঃ DA বৃদ্ধির পর আরও একটি বড় সুখবর! সরকারি কর্মীদের জন্য হয়ে গেল বিরাট ঘোষণা
প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এর হাঁটতে সমস্যা হচ্ছে। তবে শুধু হাঁটার সমস্যা নয়, বেশ কিছু শারীরিক সমস্যাও দেখা দিয়েছে। সেই কারণেই জেল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে SSKM কে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে খবর। তাঁদের কাছে আবেদন করা হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক পরীক্ষা করার। এদিকে গত কয়েক দিনে গরমের দাপট এতটাই বেড়েছে যে গোটা দক্ষিণবঙ্গ দহনজ্বালায় পুড়ছে। সেক্ষেত্রে আশঙ্কা করা হচ্ছে জেলের মধ্যে শীততাপ নিয়ন্ত্রক যন্ত্র বা ফ্যানের ব্যবস্থা না থাকায় হয়ত পার্থ চট্টোপাধ্যায় কাহিল হয়ে পড়েছেন।