কাটছে খিদিরপুর স্টেশন জট! জোকা-এসপ্ল্যানেড মেট্রো নিয়ে বিরাট সুখবর

বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: জোকা-এসপ্ল্যানেড মেট্রো (Joka-Esplanade Metro) রুটের খিদিরপুর স্টেশন নিয়ে জমি জট ছিল অব্যাহত। আগেই, খিদিরপুর স্টেশন নির্মাণের জন্য আলিপুর বডিগার্ড লাইন্সের জমি দিতে এক কথায় অস্বীকার করেছিল রাজ্য। আর এরপর থেকেই ওই স্টেশন নির্মাণ নিয়ে তৈরি হয় দীর্ঘ জটিলতা।

তবে এবার অবশেষে খিদিরপুর স্টেশন নিয়ে দেখা যাচ্ছে আশার আলো। কেননা, ইতিমধ্যেই ওই স্টেশন তৈরিতে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষকে ছাড়পত্র দিয়েছে রাজ্য সরকার। তবে হ্যাঁ, রাজ্যের এই ছাড়পত্র কিন্তু শর্তসাপেক্ষ। তবে তা হলেও অবশেষে যে খিদিরপুর স্টেশন নিয়ে জমি জট কাটতে চলেছে সে কথা বলাই যায়।

মেট্রো কর্তৃপক্ষকে শর্তসাপেক্ষা ছাড় দিল রাজ্য

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, খিদিরপুর স্টেশন নির্মাণের জন্য জমি দিতে কলকাতা পুরসভার পুরো কমিশনারের পক্ষ থেকে চিঠিতে বিশেষ শর্ত দেওয়া হয়েছে। জানা যাচ্ছে, রাজ্যের তরফে মেট্রোকে যে শর্তসাপেক্ষ চিঠি দেওয়া হয়েছে তাতে জানানো হয়, মেট্রোর নির্মাণ কাজ চলাকালীন ধোবি লাইনের কোনও রকম ক্ষতি করা যাবে না।

পাশাপাশি, বৃহস্পতিবার রাজ্যের তরফে মেট্রো ভবনের উদ্দেশ্যে পাঠানো চিঠিতে এও বলা হয়েছে যে, মেট্রোর কাজের জন্য বডিগার্ড লাইন্সের 837 স্কোয়ার মিটার জায়গা স্থায়ীভাবে দেওয়া হবে। তবে সেখানেও শর্ত চাপিয়েছে রাজ্য সরকার।

কয়েকটি স্থানীয় প্রতিবেদন অনুযায়ী, মেট্রোকে স্থায়ী জমি দেওয়া হলেও শর্ত হিসেবে বলা হয়েছে, ওই জমির ব্যবহার আসলে ডায়মন্ড হারবার রোড চওড়া করা থেকে শুরু করে কলকাতা পুরসভার শিফটিং ও দমকলের জন্য। তাই ওই জমিতে স্থায়ীভাবে কোনও নির্মাণ করতে পারবে না মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ।

আদৌ মিটবে সমস্যা?

প্রথম পর্বে জোকা থেকে সরাসরি বিবাদীবাগ পর্যন্ত মেট্রো অংশের পার্পল লাইনের 14.1 কিলোমিটার রুটের মধ্যে অন্তত 7 কিলোমিটার অংশে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে যাত্রী পরিবহন। তবে মেট্রো রেল সূত্রে খবর, ওই অংশে মোমিনপুর স্টেশন পর্যন্ত এলিভেটেড ও ধর্মতলা বা এসপ্ল্যানেড স্টেশন পর্যন্ত ভূগর্ভস্থ করা হবে।

অবশ্যই পড়ুন: অনলাইন-অফলাইনে সহজেই পাল্টানো যাবে PAN কার্ডের ছবি, জেনে রাখুন পদ্ধতি

জানা যায়, মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের এমন পরিকল্পনায় প্রথম ব্যাঘাত ঘটে খিদিরপুর স্টেশনের জমি নিয়ে রাজ্য বেঁকে বসলে। শুরুর দিকে খিদিরপুর স্টেশনের নির্মাণ ঠিক কোন অংশে হবে সে প্রসঙ্গে প্রথমেই ডায়মন্ড হারবার রোডের রোডের একটি অংশকে বেছে নেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে আলিপুর বডিগার্ড লাইন্সের কিছু অংশে স্টেশন নির্মাণের পরিকল্পনা নেয় রেল। তবে পরবর্তীতে সেই নির্মাণে আপত্তি জানায় রাজ্য।

ফলত, দীর্ঘদিন ধরে খিদিরপুর স্টেশন নির্মাণে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল জমি-জট। জানা যায়, একটা সময়ে নাকি খিদিরপুর স্টেশন নির্মাণ না করেই মেট্রোর ওই অংশের কাজ শেষ করতে কতৃপক্ষকে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছিল রাজ্য, তবে অবশেষে দীর্ঘ টালবাহানার পর রাজ্য সরকারের সবুজ সংকেতে কাটতে চলেছে খিদিরপুর স্টেশন নিয়ে ঝুলে থাকা কাজ, আপাতত তেমনটাই তো আশা বিশেষজ্ঞ মহলের।

Leave a Comment