ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরেই একের পর এক প্রতিশ্রুতি পূরণে উদ্যোগ নিতে শুরু করেছেন রাজ্যের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বেশ কিছুদিন আগে রাজ্যের অর্থ দফতর এর পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে সরকারী কর্মীদের DA বৃদ্ধির কথা। ১০ শতাংশের জায়গায় ১৪ শতাংশ DA পেতে চলেছে কর্মীরা। বেড়েছে প্রায় ৪ শতাংশ। ১ এপ্রিল থেকে মিলবে সেই বর্ধিত DA। এই আবহে রাজ্য সরকার আরও ১০ শতাংশ DA বৃদ্ধির ঘোষণা করল সরকারী কর্মীদের।
আরও DA বৃদ্ধির ঘোষণা রাজ্য সরকার!
রাজ্যে প্রায় ৪০টির মতো মহার্ঘ ভাতা-প্রাপ্ত স্কুল রয়েছে। কিন্তু দীর্ঘ ছ’মাস ধরে আটকে ছিল মহার্ঘ ভাতা। গত ১৩ জুন পশ্চিমবঙ্গের স্কুল শিক্ষা দফতরের প্ল্যানিং ও বাজেট শাখার তরফ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল। যেখানে বলা হয়েছে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল এবং সংস্কৃত টোলের শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মীদের DA একলাফে ১০ শতাংশ হারে বৃদ্ধি করা হচ্ছে। অর্থাৎ রাজ্যের শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের জন্য চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকেই ৪ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হবে।
সূত্রের খবর, রাজ্যের সরকারি ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীদের বেতন ও মহার্ঘভাতা দেওয়া হয় রোপা ২০১৯ অনুযায়ী। অন্য দিকে, মহার্ঘ ভাতাপ্রাপ্ত স্কুলগুলির বেতন ও মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হয় রোপা ২০০৯ অনুযায়ী। তবে এই নয়া মহার্ঘ ভাতা ঘোষণা হওয়ার পরে ১৪১ শতাংশ থেকে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের মহার্ঘ ভাতার হার বেড়ে দাঁড়াতে চলেছে ১৫১ শতাংশ। অন্যদিকে মহার্ঘ ভাতাপ্রাপ্ত স্কুলগুলির জন্য আলাদা করে অনুমোদন নিতে হয় অর্থ দফতরের। কিন্তু জানুয়ারি মাসের মহার্ঘ ভাতা পেলেও এপ্রিল থেকে দ্বিতীয় মহার্ঘ ভাতা নিয়ে এখনও মুখে কুলুপ এঁটেছে সরকার।
দ্বিতীয় মহার্ঘ ভাতা কবে?
এই প্রসঙ্গে শহরের মহার্ঘ ভাতাপ্রাপ্ত স্কুলগুলির মধ্যে অন্যতম স্কটিশ চার্চ কলেজিয়েট স্কুলের অধ্যক্ষ বিভাস সান্যাল বলেন, ‘DA গেটিং স্কুলগুলি রোপা ২০০৯ অনুযায়ী বেতন পেয়ে থাকে। বকেয়া মহার্ঘভাতা পাওয়ার ফলে শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীরা উপকৃত হবেন। কিন্তু এক বছরে দ্বিতীয় বার ঘোষণা করা মহার্ঘভাতাও পেলে আরও বেশি ভাল হত।’ অন্যদিকে বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল জানান, ‘অর্থ দফতরের এই অনুমোদন পাওয়ার জন্য অনেক বার ছুটতে হয়েছে নবান্নে। ২০২৪-এর জানুয়ারি থেকেই শিক্ষক শিক্ষাকর্মীরা ১৫১% DA পাবেন। এখনও ১০% বাকি থেকে গেল, যেটা এপ্রিল থেকে পাওয়ার কথা। আশা করি শিক্ষা দফতর খুব তাড়াতাড়ি সেই বকেয়া পাওয়ারও ব্যবস্থা করবে।’