ঋত্বিক পাত্রঃ এবার চিনকে বাগে আনতে নতুন অস্ত্র নিয়ে হাজির হয়েছে ভারত। ভারতীয় সেনা নিয়ে এল নয়া নাগাস্ত্র-১। সম্পুর্ন দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হয়েছে এই নাগাস্ত্র অস্ত্র। এটি একটি লয়টারিং মিউনেশন অথবা সুইসাইড ড্রোন। লক্ষ্যবস্তুর আশেপাশে নীরবে এবং চুপচাপ উড়তে থাকে নাগাস্ত্র-১। এরপর সঠিক সময়ে নেমে আসে সেটি এবং শত্রুকে শেষ করে দেয়।
উল্লেখ্য যে, ভারতীয় সেনা এরকম ৪৮০টি নাগাস্ত্র সরবরাহের বরাত দেয় নাগপুরের সোলার ইন্ডাস্ট্রিজের ‘ইকোনমিক্স এক্সপ্লোসিভ লিমিটেড’ সংস্থাকে। বিষয়টি নিয়ে সংবাদ সংস্থা ANI-কে এক সেনা অফিসার জানিয়েছেন, “প্রিডেলিভারি ইন্সপেকশন সফল হওয়ার পর, সেনার এক অস্ত্রাগারে, ইকোনমিক্স এক্সপ্লোসিভ লিমিটেড সংস্থা ১২০টি লয়টার মিউনেশন সরবরাহ করেছে।” উল্লেখ্য যে, এটি একটি আনম্যানড অর্থাৎ ড্রোন। তাই দূর থেকে কোনো প্রাণহানি না করেও আক্রমন করা সম্ভব।
নাগাস্ত্র-১ লক্ষ্যবস্তুর ওপর স্থিরভাবে উড়তে সক্ষম। এছাড়া এটি ৪৫০০ মিটার উচ্চতায় উড়তে সক্ষম, যার ফলে কোনো রাডারে ধরাও পড়েনা। তাই অতর্কিতে আক্রমণ চালাতে পারে এই ড্রোনটি। এক্ষেত্রে শক্ররাষ্ট্রেও মিশন চালানো সম্ভব হতে পারে। লক্ষ্যবস্তুর ওপর অতর্কিতে হামলা করতে তৈরী থাকে এই নাগাস্ত্র। আত্মঘাতী উপায়ে হামলা চালায় এই ড্রোনটি। অর্থাৎ লক্ষ্যবস্তুর সাথে সাথে নিজেও ধ্বংস হয়ে যায়।
আরও পড়ুনঃ অপেক্ষার অবসান, হাইকোর্টের রায়ে জট খুলল প্রাথমিক নিয়োগের! মুখে হাসি চাকরিপ্রার্থীদের
জানিয়ে রাখি যে, নাগাস্ত্র তে রয়েছে জিপিএস-ভিত্তিক প্রযুক্তি। সেখানে মাত্র ২ মিটারের ভুলচুক হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। নাগাস্ত্র একবার আকাশে উড়লে টানা ৬০ মিনিট পর্যন্ত উড়তে সক্ষম। এছাড়া কেও নিয়ন্ত্রণ করলে ১৫ কিমি অবধি উড়তে পারে এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে উড়লে ৩০ কিমি দূর অবধি উড়ে যেতে পারে। নাগাস্ত্র অন্য লয়টার মিউনেশনের থেকে আলাদা কারণ এটি একবার লঞ্চ করার পরও ফিরিয়ে আনা যায়। প্যারাশুটের মাধ্যমে সফট ল্যান্ডিং করানো যায় এটির।