সহেলি মিত্র, কলকাতাঃ নভেম্বরের শেষে ঘূর্ণিঝড় ‘সেনিয়ার’-এর (Cyclone Senyar) ভয়ে কাঁটা সাধারণ মানুষ। ইতিমধ্যে বিভিন্ন জায়গায় এই ঘূর্ণিঝড় নিয়ে সতর্কতা জারি করেছে আইএমডি (IMD)। ঘণ্টায় ৬৫ কিমি বেগে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়টি। একাধিক জায়গায় তুমুল বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এখন লাখ টাকার প্রশ্ন হচ্ছে, বাংলায় কি এই ঘূর্ণিঝড়ের সরাসরি প্রভাব পড়বে? আর যদি পড়েও তাহলে সরকারের তরফে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে? চলুন সবটা জেনে নেবেন।
৬৫ কিমি বেগে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়
ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ (IMD) তার সর্বশেষ বুলেটিনে জানিয়েছে যে মালয়েশিয়া এবং সংলগ্ন মালাক্কা প্রণালীর উপর তৈরি নিম্নচাপ অঞ্চলটি ক্রমাগত শক্তিশালী হচ্ছে এবং ধীরে ধীরে বঙ্গোপসাগরের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। আইএমডি জানিয়েছে যে আজ ২৫ নভেম্বরের দিকে কোমোরিন এবং দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং শ্রীলঙ্কার আশেপাশের অঞ্চলে একটি নিম্নচাপ অঞ্চল তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। হাওয়া অফিসের মতে, আগামী কয়েক ঘন্টার মধ্যে এটি দক্ষিণ আন্দামান সাগরের উপর একটি নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
একাধিক রাজ্যে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা
এর পরে, এই সিস্টেমটি ২৬ নভেম্বরের দিকে ‘ঘূর্ণিঝড় সেনিয়ার’ রূপ নিতে পারে। এর কারণে, ২৫ থেকে ২৯ নভেম্বরের মধ্যে আন্দামান থেকে ওড়িশা উপকূলীয় অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে, যেখানে ২৫-২৭ নভেম্বর তামিলনাড়ুতে, ২৬ নভেম্বর কেরালা এবং মাহেতে, লাক্ষাদ্বীপে, ২৯ নভেম্বর উপকূলীয় অন্ধ্রপ্রদেশে এবং ২৮ থেকে ৩০ নভেম্বর তামিলনাড়ুতে, ৩০ নভেম্বর উপকূলীয় অন্ধ্রপ্রদেশ এবং ইয়ানামে খুব ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এই সময়কালে, প্রতি ঘন্টায় ৬৫ থেকে ১০০ কিমি বেগে ঝড় বইতে পারে।
এদিকে এই ঘূর্ণিঝড়ের সরাসরি প্রভাব পড়বে না। তবে উপকূলবর্তী কিছু জেলা যেমন পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার কিছু অংশে হালকা থেকে মাঝারি পরিমাণে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে আপাতত নভেম্বর মাসের শেষ দিন অবধি মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।