ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: কয়েকদিন আগে নিউটাউনের এক রেস্তোরাঁয় ছবির শ্যুটিং করতে গিয়েছিলেন অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী। সেখানে গাড়ি পার্কিং করা নিয়ে রেস্তোরাঁর মালিক এবং কর্মীদের সঙ্গে সোহম এবং তাঁর কর্মীরা নানা বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এমনকি রাগ নিয়ন্ত্রণে না আনতে পেরে রীতিমত মারপিটও শুরু করে দেন বিধায়ক অভিনেতা। আর তার পর থেকেই সোহমের শনির দশা চলছে।
একেবারে হাইকোর্টে গিয়ে রেস্তোরাঁর মালিক সোহমের বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দেয়। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত ঘটনায় বিচারপতি অমৃতা সিংহ বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগকেই চালিয়ে নিয়ে যেতে বলেছে। পাশাপাশি এই মামলার সঙ্গে যুক্ত তথ্যপ্রমাণও সংরক্ষণ করে রাখতে হবে পুলিশকে। পরবর্তী শুনানি হবে আগামী ৪ জুলাই। সব মিলিয়ে গোটা ঘটনা নিয়ে বিপাকে অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী। আর এই আবহে বেশ কয়েকজন তারকারা বিভিন্ন মত পোষণ করেছেন। কেউ সোহমকে কটাক্ষ করেছেন তো কেউ আবার সমর্থন করেছেন। তবে তাঁর জীবনে এই অন্ধকার প্রথম নয়, এর আগেও তাঁর জীবনে নেমে এসেছিল আধাঁরের আলো।
জীবনের অন্ধকার অধ্যায় নিয়ে অকপট সোহম!
২০১৬ সালে বাঁকুড়ার বড়জোড়া থেকে একবার তৃণমূলের হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন সোহম চক্রবর্তী। কিন্তু মাত্র ৬০০ ভোটের ব্যবধানে হেরে যান তিনি। আর সেই হারই তাঁর জীবনে এক অন্ধকার অধ্যায় নিয়ে এসেছিল। সেই অন্ধকার সম্পর্কে এক বিশেষ সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন তিনি। সোহমের কথায়, ২০১৬ সালে বাঁকুড়ায় যখন সোহম ভোটে হেরে যান, তখন ফোন করে তাঁর কেউ খোঁজ নেননি। টানা দেড় বছর শুধু পড়েছিল। কোনও বন্ধু বান্ধব ফোন করে জিজ্ঞাসাও করত না তাঁর শরীর স্বাস্থ্য সম্পর্কে। সবদিক থেকে তিনি ভেঙে পড়েছিলেন। চোখের জলে দিন কাটত তাঁর।
আরও পড়ুনঃ
সোহম এই কঠিন দিনগুলি মনে করে সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘জীবনে এমনও কিছুদিন গিয়েছে যেখানে বাসভাড়া দিতে পারব না বলে সেই রাস্তাটা হেঁটে গিয়েছি। লেক কালিবাড়ির সামনে দিয়ে হাঁটতে-হাঁটতে মা কে বলতাম, “আজ হাঁটাচ্ছ। কাল কিন্তু গাড়ি নিয়ে যাব।” এছাড়াও তিনি বলেন, ‘জল কিনে পয়সা নষ্ট করব না বলে থুতু গিলেছি। সুতরাং সবটাই শিক্ষা। মরে যাওয়া কোনও সমাধান হতে পারে না। যেদিন এটা সকলে বুঝবে, সেদিনই জীবন অনেক সহজ হয়ে উঠবে।’