ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: লোকসভা ভোটের আগে হোক বা পরে, একের পর এক সিদ্ধান্ত নিয়ে সকলকে চমকে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। DA থেকে শুরু করে আরও নানা ভাতার বৃদ্ধি সংক্রান্ত কাজ করে কর্মীদের মন জয় করে নিয়েছে। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গ সরকার নির্বাচনী ভোট প্রচারের সময় যে সকল প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তার মধ্যে সবটাই একে একে পূরণ করতে চলেছে।
কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় কর্মীরা নিজেদের দাবি মেটানোর জন্য সরকারকে চাপ দেয়। যদি সরকার সেই দাবি মেটাতে অপারগ হয় তাহলে সরকারের বিরুদ্ধে আদালতে দ্বারস্থ হতে দেখা যায়। সেক্ষেত্রে মামলা খুব জটিল হয়ে দেশের শীর্ষ আদালতেও পৌঁছে যায়। বেশীরভাগ ক্ষেত্রে এই ধরনের ঘটনায় রাজ্য সরকারি কর্মীদের জয়জয়কার হয়, কপাল চাপড়াতে হয় সরকারের। তবে এবার ঠিক উল্টো রায় বেরোলো আদালতে। মাথায় হাত রাজ্যের সরকারী কর্মীদের।
ফের আদালতে সরকারের বিরুদ্ধে মামলা
সূত্রের খবর, কেরল কো-অপারেটিভ মিল্ক মার্কেটিং ফেডারেশনে কাজ করা অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরা আর্নড লিভ এনক্যাশমেন্ট সংক্রান্ত রিট পিটিশন দাখিল করেছিলেন কেরল হাই কোর্টে। তাঁদের দাবি ছিল, সরকারের তরফ থেকে এই আর্নড লিভ এনক্যাশমেন্টে যে ছাড় দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল তা সরকারি কর্মচারীদের পছন্দ হয়নি এবং তারই পরিপ্রেক্ষিতে এই বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকার যাতে পুনরায় বিবেচনা করে তার জন্যই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কর্মীরা। কিন্তু এই সংক্রান্ত মামলায় রীতিমত তাক লাগানো সিদ্ধান্ত নিল কেরল হাই কোর্ট।
আদালতের বিরাট রায়
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, আর্নড লিভ এনক্যাশমেন্ট বাবদ কত টাকা আয়কর ছাড় পাওয়া যাবে, তা নির্ধারণ করা একান্তই সরকারের অধিকারের মধ্যে পড়ে। তাই সরকারর তরফ থেকে আর্নড লিভ এনক্যাশমেন্টের সীমা নির্ধারণ করে যতদিন না কোনও সার্কুলার জারি করা হচ্ছে, ততদিন ৩০০ দিন পর্যন্ত লিভ এনক্যাশমেন্টের ওপরে আয়কর ছাড়ের দাবি জানাতে পারবেন না সরকারি কর্মীরা।
আরও পড়ুনঃ তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা নেই, দক্ষিণবঙ্গে এবার অবিরাম বৃষ্টি! বর্ষা আসার আগেই সুখবর
রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৩ সালে লিভ এনক্যাশমেন্টের ওপরে আয়কর ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা নির্ধারণের বিষয় নিয়ে শেষ সংশোধন করা হয়েছিল। তখন লিভ এনক্যাশমেন্টের ওপরে আয়কর ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা ২৫ লাখ করা হয়েছিল। এবং এর মাঝে তিনবার পে স্কেল বদল করা হয়েছে। এই আবহে আগে অবসর নেওয়া সরকারি কর্মীরা লিভ এনক্যাশমেন্টের ওপরে আয়কর ছাড় পেয়েছেন মাত্র ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত। তাই তাদের দাবি ছিল, লিভ এনক্যাশমেন্টের ওপরে আয়কর ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা নির্ধারণের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করে দেখার জন্যে কেরল সরকারকে নির্দেশ দিক কেরল হাই কোর্ট। এবং ২০০২ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে পে স্কেল পরিবর্তনের সঙ্গেই লিভ এনক্যাশমেন্টের ওপরে আয়কর ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা বাড়ানোর নির্দেশ দিক আদালত। কিন্তু সেই দাবিতে জল ঢেলে দিল হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত।