ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: কম বেশি সকলেরই ইচ্ছা থাকে নিজের একটা বাড়ি বানানো। ভাড়া বাড়িতে থেকে ভাড়া গোনার তুলনায় লোন নিয়ে ছোট একটা বাড়ি বানালেও সেটা তৃপ্তির। কিন্তু বাড়ি তৈরির জন্য দরকার হয় পর্যাপ্ত জমির। আর সেখানেই অনেকে জমি কিনতে গিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য না জেনেই ঠকে বসেন।
বর্তমানে প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির দাম যে হারে বেড়ে চলেছে, তাতে মাথায় হাত সকলের। তার উপর স্বপ্নের বাড়ি নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় জমির আকাশ ছোঁয়া দামে যেন আতঙ্ক ধরিয়ে দিচ্ছে মনে। তার উপর জমি কেনাবেচার ক্ষেত্রে বহুক্ষেত্রেই দালালদের ফাঁদে পড়ে গ্রাহকদের ঠকতে হয়। কখনও ভুয়ো কাগজ দিয়ে ঠকিয়ে দেয় তো কখনও আবার কম জমির অনেক বেশি দামে বিক্রি করে বিক্রেতারা। যার দরুণ মহা ফাঁপরে পড়তে হয় সাধারণ মানুষকে। তবে এবার সেসব দুর্নীতিমূলক কাজ আর নয়। কারণ জমি কেনাবেচার সময় যাতে কাউকে ঠকতে না হয় তার জন্য নতুন ব্যবস্থা আনছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
জমি কেনা সংক্রান্ত রাজ্যের নয়া উদ্যোগ
করোনাকালীন সময়ে সাধারণ মানুষকে কিছুটা সুরাহা দিতে ও আবাসন শিল্পকে ছাড় দিতে এই স্ট্যাম্প ডিউটি, সার্কেল রেটে ছাড় দিয়েছিল রাজ্য সরকার। ওই সময় বহু ক্রেতা অনেক পছন্দসই জমি কিনেছিল। ফলত রাজ্যের কোষাগারে উপচে পড়েছিল সম্পদ। কিন্তু হিসেবের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বিগত ৩ বছরে স্ট্যাম্প ডিউটি বাবদ কর আদায়ে বিপুল টাকার ঘাটতি হয়েছে রাজ্যের কোষাগারে। যার জেরে খানিক চিন্তায় মগ্ন ছিল রাজ্য সরকার। তাই এবার সেই ব্যবস্থাকে কব্জা করতে নতুন উদ্যোগ নিল রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুনঃ প্রতি মাসে ৫৮০০ টাকা! সামান্য বিনিয়োগে বিশাল রিটার্ন দিচ্ছে SBI
দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, খুব শীঘ্রই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফ থেকে নতুন জমির ডায়নামিক ভ্যালুয়েশন চালু করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। বাড়িতে বসে মোবাইল মারফৎ দেখে নেওয়া যাবে প্রত্যেকটি এলাকার জমির দাম। জানা গিয়েছে, যেসকল এলাকার সার্বিক উন্নয়ন বেশি সেখানকার জমি ও বাড়ির দাম তত বেশি হবে। এর ফলে গ্রাহকরা জমি কিনতে গিয়ে যেমন ঠকবে না। তেমনই রাজ্যের কোষাগারে কর আদায়ের বিপুল টাকার ঘাটতির কোনো লক্ষণ দেখা যাবে না।