ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: সকালবেলায় যখন শহর ঘুমের ঘোর কাটিয়ে নতুন দিনের শুরু করছে, ঠিক তখনই হাওড়ার দু দুটি এলাকায় হঠাৎ হাজির হল ED। ঘেরাও করে রাখা হয় দুটি বাড়ি। বেশ কিছু নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতেই এই অভিযান চলছে বলে খবর। গোটা এলাকা কেন্দ্রীয় বাহিনী জওয়ানরা ঘিরে ফেলেছে। যা নিয়ে আশেপাশের বাসিন্দাদের মধ্যে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।
সাতসকালে ED র হানা এখন কলকাতাবাসীর কাছে কোনও নতুন ব্যাপার নয়। কারণ বিগত কয়েক বছরে বাংলায় কয়লা থেকে গরুপাচার কাণ্ড, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি সহ একাধিক ‘হাই প্রোফাইল’ মামলার তদন্ত করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ED। যেই কারণে এই সমস্ত মামলায় একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তি এবং নেতারা জেলের ঘানি টানছে। ফের আরও একবার দিল্লির সাইবার অপরাধ সংক্রান্ত মামলাতেও নাম জুড়ল রাজ্যের।
ফের হানা ED-র!
সূত্রের খবর, দিল্লির সাইবার অপরাধ সংক্রান্ত একটি মামলায় রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধকারিকরা বা ED। তাই আজ সাতসকালে একটি দল এসে পৌঁছয় হাওড়ার সালকিয়ায় এবং অন্য দলটি যায় লিলুয়াতে। তদন্তে উঠে এসেছে এলাকার দুই বাসিন্দার নাম। একজন সালকিয়ার শ্রীরাম ঢ্যাং রোডের বাসিন্দা, নাম মহম্মদ হোসেন। এবং অপরজন হলেন লিলুয়ার চকপাড়া এলাকার বাসিন্দা মনোজ দুবে। আশঙ্কা করা হচ্ছে সাইবার প্রতারণামূলক ঘটনার সঙ্গে যুক্ত আছেন তাঁরা।
আরও পড়ুনঃ মেটানো হবে দীর্ঘদিনের বকেয়া! শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীদের জন্য অবশেষে বড় ঘোষণা রাজ্য সরকার
প্রসঙ্গত সাইবার সংক্রান্ত এই তল্লাশি মনে করিয়ে দেয় কলকাতার আমির খান নামে এক ব্যক্তির কথা। যিনি কিনা গেমিং অ্যাপের মাধ্যমে সাইবার প্রতারণার ঘটনায় জড়িত ছিলেন। সেই প্রতারণার ঘটনায় আমিরের কয়েক জন সঙ্গীকে গ্রেফতারও করেছিল ED।