ঋত্বিক পাত্রঃ পড়ুয়াদের কথা মাথায় রেখে চালু করা হয় মিড ডে মিল ব্যবস্থা। সেখানে দুপুরবেলা পেটপুরে খেতে পায় ছাত্রছাত্রীরা। পড়াশোনার সাথে সাথে যাতে পেট থাকে ভর্তি সেই দিকটাও নজরে রাখতেই শুরু করা হয় এই মিড ডে মিল ব্যবস্থা। কিন্তু বর্তমানে বেশিরভাগ জায়গাতেই মর্নিং স্কুল হচ্ছে। আর এর ফলে পড়ুয়াদের খাবার নিয়েও সমস্যার অন্ত নেই। সকালে স্কুল শুরু হচ্ছে এবং মিড ডে মিল মিলছে বেলা সাড়ে দশটা নাগাদ।
আসলে স্কুল শুরু হওয়ার পর সকাল থেকে অনেকটা সময় খালি পেটে থাকতে হচ্ছে পড়ুয়াদের। এমন অবস্থায় শিক্ষার্থীদের জন্য প্রাতঃরাশের অর্থাৎ ব্রেকফাস্টের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পড়ুয়াদের দেওয়া হচ্ছে সেদ্ধ ছোলা। স্কুলে আসার সাথে সাথেই পড়ুয়াদের সেদ্ধ অথবা জলে ভেজানো ছোলা দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে পড়ুয়াদের পেট যেমন কিছুটা ভরছে তেমনই পুষ্টিগুণও পাওয়া যাচ্ছে।
বেতনের টাকা দিয়ে ব্রেকফাস্ট দিচ্ছেন শিক্ষকরা
উল্লেখ্য, স্কুলে অবশ্য এই আয়োজন সরকারি তরফে করা হয়নি। এজন্য আসেনি কোনও অর্থ সাহায্য। পড়ুয়াদের কথা মাথায় রেখে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষিকারা। তারাই ব্রেকফাস্টে সেদ্ধ ছোলা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এরপর ঠিক করেন নিজেদের বেতন থেকে চাঁদা দিয়ে এমন ব্যবস্থা নেওয়ার। আর সেরকম ভাবেই কাজ করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ কোটি কোটি মানুষ পাবেন ১০ হাজার টাকা! পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এই স্কিমে নাম আছে?
আবার এই ঘটনা যে রাজ্যের প্রতিটি স্কুলে হচ্ছে তাও নয়। এই ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমান জেলার পূর্বস্থলীর ১ নম্বর ব্লকের নাদন ঘাট রামপুরিয়া হাই স্কুলে। সেখানেই পড়ুয়াদের এমন ব্রেকফাস্ট দেওয়া হচ্ছে। পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী অবধি ১১০০ ছাত্র ছাত্রী রয়েছেন সেখানে। তাদের সবার জন্যই এমন সুব্যবস্থা করা হয়েছে। স্কুলের তরফে জানানো হয়েছে, মর্নিং স্কুল যতদিন চলছে ব্রেকফাস্টের আয়োজন থাকবে ততদিন।