বিরাট দুঃসংবাদ, জেলবন্দী পার্থ পেলেন চরম খারাপ খবর! মাথায় হাত প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর

Updated on:

partha-tmc

ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের পরে আরও শক্ত হাতে কড়া নিয়ম নির্দেশ চালু করল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সরকারী কর্মীদের বেতন বৃদ্ধি সংক্রান্ত সমস্যাসহ রাজ্যের কর্মসংস্থান এবং রাজ্যের সাধারণ মানুষের একের পর এক সমস্যা মোকাবিলা করতে তৎপর হয়ে উঠেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি রাজ্যে বেআইনি নির্মাণ এবং দখলদারি-সহ নানা বিষয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বেআইনি দখল, ফুটপাতের দখল নিয়ে ক্ষুব্ধ মমতা

গত সোমবার নবান্নে, একাধিক পুর পরিষেবায় খামতি, বেআইনি নির্মাণ, দখলদারি-সহ নানা বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন পরিচ্ছন্নতার নিরিখে খারাপ শহরের তালিকায় জেলা সদর সিউড়ির নাম উঠে আসার পর থেকেই বেশি তৎপরতা চোখে পড়েছিল জেলা সদরেই। তাই ঘোষণার পর বুধবার থেকেই অবৈধ দখলদারির বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযানে নামে পুরসভা। এমনকি রাজ্য জুড়ে হকার উচ্ছেদ অভিযান নিয়ে রীতিমত মামলা করা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। বিচারপতি অমৃতা সিনহা এ বিষয়ে জনস্বার্থ মামলা করার পরামর্শ দিয়েছেন। আর এই দখলমুক্ত ফুটপাত অভিযানে খবরের শিরোনামে উঠে আসে বেহালা পশ্চিমের রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পার্টি অফিস।

WhatsApp Community Join Now

গুঁড়িয়ে দেওয়া হল শখের পার্টি অফিস

জানা যায় রাজনীতিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায় যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখন প্রায়শই তাঁকে এই পার্টি অফিসে দেখা যেত। দলের সঙ্গে মাঝে মধ্যেই বেশ কয়েকটি বিষয়ে বার্তালাপ এই অফিসেই হত। এমনকি এলাকায় জনসংযোগের কাজও করতেন এখান থেকেই। কিন্তু সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর দখলমুক্ত ফুটপাত অভিযানের নির্দেশে গতকাল সকাল থেকেই বেহালা ম্যান্টন এলাকায় ওই পার্টি অফিসে রয়েছে ভিড় করতে দেখা যায় বহু তৃণমূল কর্মী-সমর্থককেই। তাঁদের বক্তব্য, দলনেত্রীর নির্দেশ এসেছে। আর তাই এই পার্টি অফিস সরিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত নিম্নচাপ, এবার দক্ষিণবঙ্গে খেল দেখাবে বর্ষা! আজ ৫ জেলায় তুমুল বৃষ্টি

অন্যদিকে, গতকালই আবার তারাতলায় থাকা বিজেপির পার্টি অফিস ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছিল বুলডোজার। যার দরুন বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়ে যায় পুলিশের। এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। জানা গিয়েছে, তারাতলা গরাগাছা পোর্ট ট্রাস্টের জমির উপর অবৈধভাবে তৈরি হয়েছিল বিজেপির এই পার্টি অফিস। তাই এই অবৈধ নির্মাণ ভেঙে দেওয়া হয় কলকাতা পুলিশ ও পোর্ট ট্রাস্টের পক্ষ থেকে।

বাছাই করা গুরুত্বপুর্ন খবর পেতে গ্রুপে যুক্ত হোন