ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: গত সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটা নির্দেশেই এবার নড়েচড়ে বসল রাজ্য প্রশাসন থেকে শুরু করে শহরের পুরসভা এলাকাগুলি। শহরে বেআইনি হকারদের ওঠানোর জন্য তাই এইমুহুর্তে চলছে হকার উচ্ছেদ অভিযান৷ একদিকে বাসন্তী দেবী কলেজের সামনে অভিযান চালালেন গড়িয়াহাট থানার আধিকারিকরা। তো অন্যদিকে বেহালাতেও চলছে পুলিশদের টহল।
এই জটিল পরিস্থিতিতে মাথায় হাত হকারদের। ভবিষ্যতে তাঁদের আর্থিক অবস্থা কেমন চলবে তা নিয়েও বেশ চিন্তিত তাঁরা। তাই রাজ্য জুড়ে হকারদের আন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করে। এবার তাঁদের জন্য নয়া পদক্ষেপ নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘোষণা করলেন এখনই উচ্ছেদ নয় হকারদের। রাস্তা থেকে সরে আসার জন্য তাঁদের অন্তত একমাস সময় দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি তাঁদের জন্য একটি প্রকল্প চালু করা হয়েছে। এবং এই প্রকল্পের মধ্য দিয়ে রাজ্যের পৌরসভা এলাকায় ব্যবসা করা হকারদের ৮০ হাজার টাকা দেওয়া হচ্ছে।
হকারদের জন্য রাজ্য সরকারের প্রকল্প!
জানা গিয়েছে, যে সকল হকাররা পৌরসভা এলাকায় ব্যবসা করেন তাদের এই প্রকল্পের সুবিধা দেওয়া হয় থাকে। মূলত দুর্গা পুজো অথবা অন্য কোনও বড় অনুষ্ঠানের সময় সাধারণ মানুষের জামাকাপড় কেনার হিড়িক বাড়ে। সেক্ষেত্রে বড় বড় ব্যবসায়ীরা তাঁদের সঞ্চিত অর্থের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণে সামগ্রী কেনে। কিন্তু যারা ছোট ব্যবসায়ী তাদের ব্যবসা বাড়ানোর ইচ্ছে থাকলেও আর্থিক দুর্বলতার দরুন হয়ে ওঠে না। তাই রাজ্য সরকার ২০২৩ সালের দুর্গা পুজোর আগে এমন একটি প্রকল্পের ঘোষণা করেছেন।
আরও পড়ুনঃ হু হু করে কমছে দাম, সর্ষের তেল সহ সমস্ত ভোজ্য তেলের রেটে বিরাট পতন! কত করে বিকোচ্ছে?
তবে এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে চাইলে ঘাবড়ানোর কিছু নেই। কারণ গত বছরে যে নিয়ম ছিল সেই নিয়ম অনুযায়ী পৌরসভায় আবেদন জানাতে হবে। সর্বমোট হকারদের ৮০ হাজার টাকা ঋণ হিসেবে দিয়ে থাকে। তবে পুরো টাকা একবারে দেওয়া হয় না। তিন দফায় সেই টাকা হকারদের দেওয়া হয়। অর্থাৎ প্রথম দফায় ১০ হাজার টাকা, সেই টাকা শোধ করলে দ্বিতীয় দফায় ২০ হাজার টাকা। সেই টাকা শোধ করার জন্য এক বছর সময় পাওয়া যায় আর সেই টাকা শোধ হলেই ৫০ হাজার টাকা পাওয়ার যোগ্য হয়ে যান ওই হকার।