ঋত্বিক পাত্রঃ মোহনবাগান এখন ভারী ব্যস্ত দল গড়া নিয়ে। কদিন আগেই মুম্বই সিটি এফসি থেকে দলে সই করিয়েছেন মিডফিল্ডার আপুইয়াকে। কোচ হাবাসের সাজানো দলকে কিছুটা বদলে দিচ্ছেন নতুন কোচ মেলিনা। ভারতীয় খেলোয়াড় একই থাকছে কিন্তু বদলে যাচ্ছে বিদেশী খেলোয়াড়রা। আর শক্তিশালী দল গড়েই AFC তে নামবে বাগান। বড় মঞ্চে নামার আগে তাই কোনও আর্থিক অভাব হচ্ছে না বাগানের। আসছেন অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় দলের দুই ফুটবলার।
এবার বুড়োদের বাতিলের খাতায় ফেলতে চলেছেন সবুজ মেরুনের কর্তারা। হাবাস দলের কোচ থাকার সময় হুগো বুমোসকে ছেড়ে তার পরিবর্তে নিয়ে আসেন ফিনল্যান্ডের জনি কাউকোকে। তিনি বদলে দিয়েছিলেন মাঠের চিত্র। তার জোরালো শটের মোকাবিলা করতে পারার মত খেলোয়াড় খুব কমই ছিলেন লীগে। এছাড়া দলের ডিফেন্ডার হেক্টর য়ুসতেও ছিলেন জয়ের অন্যতম কারণ। এমনকি ডিফেন্স থেকে উঠে গিয়ে গোলও করে এসেছেন তিনি।
তবে ডিফেন্ডার ব্রেন্ডন হ্যামিলের জায়গা হয়নি দলে, বেশিরভাগ ম্যাচেই তিনি বেঞ্চে বসে কাটিয়েছেন। আর এই তিনজনকে ছেড়ে দিল মোহনবাগান। অর্থাৎ তারা ছেড়ে দিল জনি কাউকো, হেক্টর য়ুসতে এবং ব্রেন্ডন হ্যামিলকে। মোলিনা অবশ্য তার জায়গায় পছন্দ করে নিয়েছেন স্পেনের আলনার্তো রদ্রিগেজকে। কথাবার্তা পাকা জ্যাসন কামিন্স, দিমিত্রি পেত্রাতোসের পাশাপাশি জেমি ম্যাকলারেনের সাথে। এক্ষেত্রে বাকি থাকছেন আর দুই বিদেশী, সেখানে এক ডিফেন্ডার এবং একজন ডিফেন্সিভ ব্লকার নিতে পারেন মোলিনা।
আরও পড়ুনঃ লক্ষ্মীর ভান্ডারের মতোই, মাসে মাসে মহিলাদের অ্যাকাউন্টে ঢুকবে মোটা টাকা! ঘোষণা রাজ্য সরকারের
এছাড়া মিডফিল্ডে এক ফুটবলারকে নিতে পারেন তিনি। এদিকে মোহনবাগানের সাথে দীর্ঘ সময় ধরেই জড়িয়ে ছিলেন জনি কাউকো। গেল ইউরোকাপের পরপরই তাকে দলে নেয় বাগান। অনেকটা সময় ক্লাবকে দিয়েছেন তিনি। এরপর ব্রেন্ডন হ্যামিল হলেন আইএসএল নকআউট চ্যাম্পিয়ন, শিল্ড জিতেছেন তিনি, ডুরান্ড কাপ জয়ী দলেরও সদস্য তিনি। য়ুসতেও ক্লাবের হয়ে শিল্ড,ডুরান্ড জিতেছেন। এবার একসাথে এই তিন ফুটবলারকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত সঠিক কিনা তা অবশ্য সময়ই বলবে।