ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: টলিউড হোক কিংবা বলিউড, বিনোদন জগতের আলোকময়তার মাঝেই দেখতে পাওয়া যায় যেমন একাধিক সম্পর্ক গড়ে উঠছে তেমনি অনেক সম্পর্ক ২-৩ বছর পেরোতে না পেরোতেই ডিভোর্স পেপার ধরিয়ে দিচ্ছে একে অপরকে। কিন্তু এই ভাঙাগড়া সম্পর্কের মাঝেই এখনও এমন কিছু সম্পর্ক রয়েছে যা বছরের পর বছর ঝগড়া, ভালোবাসা এবং খুনসুটিতে একে অপরকে জড়িয়ে রয়েছে। তাঁদের মধ্যে অন্যতম জুটি হল প্রখ্যাত গায়ক রূপঙ্কর বাগচি এবং তাঁর স্ত্রী চৈতালী বাগচি।
গত ২৭ জুন রূপঙ্কর বাগচি এবং তাঁর স্ত্রী চৈতালী বাগচির রজত জয়ন্তী বর্ষের বিবাহবার্ষিকী। দেখতে দেখতে বিয়ের ২৫ বছর পার করে ফেলেছেন তাঁরা। কঠিন সময় একে অপরের হাত শক্ত করে ধরে রেখেছেন। তাই এই শুভ দিন তাঁদের বিয়ের এবং সম্পর্কের বিষয়ে নানা অজানা তথ্য প্রকাশ্যে আনলেন গায়ক। তুলে ধরলেন কিছু সুখী দাম্পত্যের টিপস।
তাঁদের এই ২৫ তম বিবাহ বার্ষিকীতে মন খুলে প্রেমের কিছু গোপন কথা তাই এক জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করলেন গায়ক রূপঙ্কর বাগচি। তাঁর কথায়, ‘আমার এবং চৈতালীর প্রেমের সূত্রপাত থিয়েটারে। আর বাকি পাঁচটা প্রেমের মত প্রথমে আমরা খুব ভাল বন্ধু ছিলাম। তারপর সেখান থেকেই শুরু প্রেমের বীজ পোতা। তাইতো আজ দেখতে দেখতে আমরা বিয়ের ২৫ টা বছর পাড় করে নিলাম। তবে প্রেমের ওই এক বছরটাকে যদি ধরা হয়, তাহলে সেটি মত ২৬ বছরে হবে।’
প্রেমজীবনের দারুণ মুহূর্ত ভাগ করলেন গায়ক রূপঙ্কর!
তিনি আরও বলেন, ‘প্রেমের এক বছর কাটতে না কাটতেই তাঁদের আমাদের সম্পর্ক ছাদনাতলায় পৌঁছায়। আমার বাড়ির লোক ছিল উদার মনের। তাইতো চৈতালীকে সঙ্গে-সঙ্গে মেনে নিয়েছিল সবাই। কিন্তু সমস্যা তৈরি হয় চৈতালীর পরিবার থেকে। তার অন্যতম কারণ ছিলাম আমি এবং আমার কাজ। এখন তো আমার একটু হলেও সকলের কাছে নাম হয়েছে। কিন্তু তখন আমার জীবন ছিল অনিশ্চয়তায় ভরপুর। তবে চৈতালী সঙ্গে থাকায় আমি আরও স্ট্রাগল করি। কেউ চিনত না আমায়। তাই ওর বাড়িতে পাত্র হিসেবে আমি খুবই খারাপ ছিলাম। পাশপাশি চৈতালীর দাদারা ছিলেন ভীষণ খুঁতখুঁতে। অবশেষে, আমার কাছে মেয়েকে শেষমেশ তুলে দিলেন তাঁরা। কিন্তু বিয়ের দিন ঘটে এক অদ্ভুত কাণ্ড। যা আজও মনে পড়লে হাসি পায়।’
রূপঙ্কর চৈতালীর বিয়েতে ঘটে এক মজার কাণ্ড!
বিয়ের দিন ঘটে যাওয়া সেই মজার কাণ্ড বলতে গিয়ে রূপঙ্কর জানান, ‘নাটক-গানবাজনা করা এক পাতি ছেলের হাতে কন্যাকে তুলে দিচ্ছেন পাত্রীপক্ষ, লোকসমাজে তাই এই সত্য লুকনোর জন্য মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছিলেন চৈতালীর দাদা। তাঁর অফিসের লোকজনকে বলেছে, ভগ্নিপতি নাকি রেলে সরকারী চাকরি করে। কিন্তু সত্য কি আর চাপা থাকে? যখন গায়ক হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি পাওয়া শুরু হয় তখন চৈতালীর দাদার অফিসের লোকজন বলতে শুরু করেন, “ও মা, ও তো, রেলে চাকরি করত। এখন করে না?” তখন চৈতালীর দাদারা ভুল ভাঙিয়ে বলেছিলেন, “ও তো কস্মিনকালেও চাকরি করত না। তোমাদের মিথ্যা বলা হয়েছিল।” তবে এখন পরিস্থিতি পুরো পাল্টে গিয়েছে। চৈতালীর বাড়ির কাছে আমি ওদেরই ছেলে। আর চৈতালীর দাদাদের কাছে আমি ইয়ার-দোস্ত।’
আরও পড়ুনঃ লক্ষ্মীর ভান্ডারের মতোই, মাসে মাসে মহিলাদের অ্যাকাউন্টে ঢুকবে মোটা টাকা! ঘোষণা রাজ্য সরকারের
তবে রূপঙ্কর বাগচি তাঁদের এই শুভ দিনে অর্ধাঙ্গিনী চৈতালির উদ্দেশ্যে এক সুমধুর বার্তা প্রদান করেন। তিনি বলেন, ‘তোমার শরীর সুস্থ থাকলেই আমি শান্তি পাই। নিজের শরীরের খেয়াল রেখো। এটাই আমার একমাত্র চাওয়া।’